July 25, 2025, 3:44 pm
সর্বশেষ:
মেঘনায় এসএসসির প্রশংসাপত্রে স্কুলের টাকা আদায় : প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তি ১৫ জেলায় ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুমতি—উন্নতির পথে অদৃশ্য শক্তি মেঘনায় বিএনপির দ্বন্দ্ব নিরসনে হাইকমান্ডের উদাসীনতায় ভিন্ন দলগুলোর পোয়াবারো মেঘনা ‘দূর্গম’ কেন—পুনর্মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি মেঘনায় খাস জমি, হালট ও খাল উদ্ধারে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা দরকার মেঘনায় টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ: বেলে মাটি, অনিয়ম ও ভাঙনের গল্প শিক্ষা সবার জন্য—টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম মেঘনায় বিএনপির ৩১ দফা নারীদের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: নেতৃত্বে চাই ছাত্রী-নারী সক্রিয়তা

মেঘনায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ঈদ আনন্দে ভাটা, নিরসন জরুরি

বিপ্লব সিকদার।। 

খেলাধুলা, শিক্ষার পাশাপাশি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য প্রয়োজন বিনোদন।  দেহ ও মন সুস্থ রাখতে বিনোদনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় এখনো গড়ে উঠেনি সরকারি -বেসরকারী বিনোদন কেন্দ্র। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। রাত পোহালেই ঈদ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন  ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। মানুষ ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য নাড়ির টানে ঘরে ফিরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঈদ মুবারকের ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েই কিন্তু ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি হয়না। শিক্ষা সংস্কৃতিতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন সহ অন্য দায়িত্বশীল যারা আছেন তারাই এ বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করবে আর স্থানীয় নাগরিকরা এই সুবিধা ভোগ করবে এটা নাগরিকদের অধিকার। যাইহোক বিনোদন কেন্দ্র না থাকার ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যারা এসেছেন তারা কি ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিতে ঘাটতি হবেনা?  কোথায় যাবে ঘুরতে?  হয় বাজারে, হয় সড়কে, না হয় স্থানীয় ব্রিজে। এইসব স্থানে কি কোন সচেতন নাগরিক পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে স্বাচ্ছন্দ্যে বোধ করবে?  কেউ কি কখনো এহেন স্থানে যাবে পরিবার নিয়ে ঘুরতে। আবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম্য কম নেই। অল্প বয়সী অটো চালক অনেকেই বেপরোয়া গাড়ি চালায়। সূত্র জানায় উঠতি বয়সী অনেক অটোরিকশা চালক, মাদক সেবন এবং গ্যাং তৈরি করে চলে। তাদের শেল্টার দেয় গুণগত মান সম্পন্ন কিছু মাস্টার মাইন্ড নেতা। প্রয়োজন বোধে ব্যবহার করে। তাই তারা কোন কিছুই কর্ণপাত করেনা। সে ভয়ে আরও এই উপজেলার বাসিন্দারা পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, বেড়াতে যাওয়া এই সব চিন্তাই করতে পারেনা। বাধ্য হয়ে পরিবেশ না পেয়ে ঘরের ভিতরে হাত পা ঘুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া পথ নেই। ফলে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি মেঘনা বাসীর কখনো পূর্ণ হয়না। সময় এসেছে এই সব বিষয় গুলো নিয়ে ভেবে কাজ করার। মন্ত্রণালয় আছে, এমপি আছে, চেয়ারম্যান আছে, বরাদ্দ এনে কাজ করাতে না পারা এটা বাসিন্দারা কেন মানবে? দ্রুতই সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য উপযুক্ত বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলা জরুরি। লেখক -সাংবাদিক।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা