নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবিআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জামায়াত নিষিদ্ধের জন্য আইনি বিষয়টি ভালোভাবে দেখে সরকার শিগগিরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। যাতে কোনো ফাঁক-ফোকর দিয়ে এই অপশক্তি স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো সুযোগ না পায়।’
আজ মঙ্গলবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকা এক যৌথসভার শুরুতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৪ দলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক দিন থেকেই এই দাবি করে আসছিল অনেকে। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, পরবর্তী গণজাগরণ মঞ্চ থেকেও এই দাবি জানানো হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী-নিবন্ধনবিহীন কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে হিটলারের নাৎসি পার্টি জার্মানিতে রাজনীতি করতে পারে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে রায় আছে।’
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের পালনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ আগস্টে যারা শহীদ হয়েছে-তাদের স্মরণে এই শোকের মাস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করে থাকি। গত ওয়ার্কিং কমিটির সভায় জাতীয় শোক দিবসে ও শোকের মাসে আমাদের কর্মসূচি সম্পর্কে, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের মহানগর ও সহযোগী সংগঠন নিজেদের মাঝে সভা করে কর্মসূচি নির্ধারণ করেছেন। মাত্র দুই তিনটা বাকি আছে।’
এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।