October 18, 2024, 5:19 am
সর্বশেষ:
মেঘনায় টিসিবির পন্য ক্রয় করতে এসে পদদলিত হয়ে বাড়ি ফিরলেন নারী স্টেশন পরিচ্ছন্ন রাখতে সহযোগিতা চাইলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম মেঘনায় অটোরিকশা চুরি মেঘনায় দুটি কলেজের ফলাফলে ক্ষুব্ধ মেঘনাবাসী কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দেশের বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন চিলমারীতে হস্তান্তরের আগেই ব্রহ্মপুত্রের পেটে যাচ্ছে আবাসন প্রকল্পের ঘর ১২ বছর আগে মিছিলে হামলা: সাবেক অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলীসহ ৩৯ জনের নামে মামলা আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের, নেতৃত্ব দেবে জামায়াত: মতিউর রহমান আকন্দ রিমান্ড শেষে সাবেক মুখ্য সচিব আজাদ ও আ.লীগ নেতা হুমায়ুন কারাগারেরিমান্ড শেষে সাবেক মুখ্য সচিব আজাদ ও আ.লীগ নেতা হুমায়ুন কারাগারে সিলেটে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

মেঘনায় ইসলামি রাজনীতির উত্থান চোখে পড়ার মত

 

বিপ্লব সিকদার।।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা ভৌগোলিক কারনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হয়ে উঠছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, রাজনৈতিক সম্প্রীতি তুলনামূলক ভালো আছে। তবে প্রতিটি বড় রাজনৈতিক দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। আছে সুশীল সমাজের বিচরণ। কয়েকটি সামাজিক সংগঠন মানুষের আপদকালীন পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছে দীর্ঘদিন ধরে। খেলাধুলা, অসহায় পরিবারকে ঘর নির্মান সহ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিয়ে পাশে ছিলেন। সামাজিক সংগঠন গুলোর মধ্যে “আমরা মেঘনাবাসী”, মেঘনা আদর্শ সামাজিক সংগঠন “‘ মেঘনা মানব কল্যাণ সংগঠনসহ আরও অনেক। এই উপজেলাটির এলিট শ্রেণীর বিশাল জনগোষ্ঠী ঢাকায় অবস্থান করে। বিভিন্ন সেক্টরে উচ্চ পদস্থ সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা আছেন। অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও রয়েছেন। আছেন রাজনৈতিক দলের নেতা।যারা জাতীয় পর্যায়ে অবদান রেখে চলছেন। এক সময়ের দূর্গম এলাকাটি মহাসড়কের সাথে সংযোগ হওয়ার ফলে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ৪০ কিমি দূরুত্ব। যদি জেলা কুমিল্লা কিন্তু ঢাকার অদূরে হওয়ার ফলে রাজধানীর বুকেই সকল সেক্টরের সামনের সারিতে অবস্থান করা ব্যক্তির ভোটার মেঘনায় কিন্তু বাসস্থান ঢাকায়। নিউইয়র্ক সিটিতে যেমন দিনের বেলায় কাজের তাগিদে মানুষের জমায়েত থাকে বেশি আবার রাতের বেলায় কাজ শেষ করে যার যার গন্তব্যে দূরে বাসায় চলে আসে।সেদিকে গেলাম না। মেঘনা উপজেলার বাসিন্দারাও দিনের বেলায় রাজনীতি, সামাজিক, ব্যক্তিগত প্রয়োজন সেরে সন্ধ্যায় ঢাকায় চলে আসে।এতে করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সাথে এলিট শ্রেণীর একটা কানেক্টিভিটি হয়েছে যা লক্ষনীয়। এবার আসি স্থানীয় রাজনৈতিক আলোচনায়, এই উপজেলায় গণ অভ্যুত্থানের পরে ইসলামি মূল্যবোধ তথা ইসলামি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক তৎপর।এর মধ্যে ইসলামি আন্দোলন,হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, জামায়াত ইসলাম সহ অন্য ইসলামি দল। মেঘনা উপজেলা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথেই প্রত্যক্ষ, পরোক্ষভাবে অধিকাংশ বাসিন্দারা জড়িত। আওয়ামী লীগ পতীত হওয়ার পর থেকে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে অধিক শক্তিশালী হয়ে উঠছে। কিন্তু সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সাধারণ মানুষ বিএনপিকে ছেড়ে না গেলেও বিব্রতকর,ও সংকায় রয়েছে। এই সুযোগে ইসলামি রাজনৈতিক দল, গণ অধিকার পরিষদ সহ যার যার অবস্থান থেকে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে জামায়াত ইসলামের রাজনীতিটা একটু ব্যতিক্রম ভাবেই চোখে পড়ছে। কৌশলগত ভাবে উপজেলার কয়েকটি জামায়াত পরিবারের সদস্য বিএনপির রাজনীতির সাথে পদ পদবি নিয়ে এমন ভাবে জড়িত হয়ে গেছে যে পিছন থেকে তারাই বিভিন্ন কৌশল, ডোনেশন, একে অপরের সাথে ব্যাবসা সহ মিলেমিশে একাকার। আওয়ামী লীগের সাথেও রয়েছে অনেক সখ্যতা। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন,শুধু বিএনপি নয় সামাজিক সংগঠন গুলো যারা উপজেলায় কাজ করছেন এমনকি ছাত্র আন্দোলন সহ এই দলটির নেতাকর্মীরা পুশইন হয়ে আছে। উপজেলার নতুন কোন ক্ষমতাবান ব্যক্তির আবির্ভাব হওয়ার সাথে সাথেই সুপরিকল্পিত ভাবে সেই ব্যক্তি বা দলকে স্পনসর হোক আর ভালোবাসায় হোক জামায়াত ইসলামের কেউ না কেউ তাদের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা তাদের পরিকল্পিত ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে মেঘনার একাধিক নেতা নেতৃত্বে আছেন। যদিও তারা মেঘনার রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেনা তবে দলকে সাংগঠনিক ভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তাদের সফলতা দেখা যাচ্ছে। এই কাজটা সাধারণত জামাত ইসলাম অন্য সংগঠনের উপর ভর করেই করছে। জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের সূত্রে জানা যায় যেহেতু আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তেমন প্রাধান্য বিভিন্ন কারনে থাকবেনা বা নির্বাচন করার স্বক্ষমতাও হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ইসলামি দলগুলো নিয়ে যদি জাতীয় ভাবে ঐক্য হয় এই উপজেলায় আগের তুলনায় ভালো সমর্থন পাবে আর যদি বিএনপি ও জামায়াতসহ সমমনা জোট নির্বাচন করে সে ক্ষেত্রে মেঘনায় যদি বিএনপির বর্তমান অবস্থা সাংগঠনিক ভাবে কোন্দল লাগিয়ে রাখতে সুশীল, কতিপয় আওয়ামী লীগ,সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃত্বকে যেকোনো ভাবে লবিস্ট হিসেবে ব্যবহার করে হলেও সফল হয় তা হলে সাধারণ ভোটাররা কিছুটা হলেও মুখ ফিয়ার নিবে আর এই সুযোগটা জামায়াত ইসলাম এখনো নিচ্ছে সামনে ওরা কখনো সামাজিক সংগঠন, অন্য রাজনৈতিক দলের উপর ভর করে ইতিবাচক কাজ করে মানুষের মন জয় করবে।বিশেষ করে দলটি তরুণ প্রজন্মের উপর কঠোর জোর দিয়ে কাজ করছেন। তাদের শিবির বা জামায়াতে নেওয়ার জন্য যোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছেন। এতে যখনই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তখন তাদের এই আসন চাওয়ার সুযোগ হবে। এতে মনোনয়ন না পাইলেও তাদের সামনের দিনগুলোতে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যেতে সুবিধা হবে এবং লাভবান হবে। পাশাপাশি অন্য ইসলামি দলগুলোও এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।

লেখক, সাংবাদিক


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা