বিপ্লব সিকদার।।
মেঘনা – কাঠালিয়া নদী বেষ্টিত উপজেলা কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা। বালু বাহী বাল্কহেড, পাথর, কয়লা সহ বিভিন্ন মালামাল বোঝাই নৌযান চলাচল করে কাঠালিয়া নদী দিয়ে।দেড় যুগ ধরে এ পথে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দায়িত্বশীলদের ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক মোটা অংকের চাঁদা তুলে আসছে। এমন খবর প্রায়ই বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হলেও বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজী। দীর্ঘদিন নৌযান গুলো চলাচল এবং চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সরাসরি চাঁদাবাজরা স্পটে না গেলেও নৌযান গুলোর মালিক ও স্টাফদের সাথে অতি পরিচয় হয়ে গেছে। ফলে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজরা বিভিন্ন সময় অন্যের বিকাশ নাম্বারে ঘরে বসেই পেয়ে যায় মোটা অংকের চাঁদা। প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় চিহ্নিত হওয়ার ফলে ভয়ে কেউ অভিযোগ করেনা। প্রতিদিন গড়ে ৫-৬ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন হয় কাঠালিয়া নদীর স্পষ্ট থেকে। এলাকায় চাওর আছে এই চাঁদাবাজীতে মেঘনার স্থানীয় মানুষের ক্ষতি হয় না। এমন বক্তব্য ও সুবিধাবাদীরা দেয়। প্রশ্ন হলো দেড়যুগ ধরে এ ধারায় চলছে, অভিযানও হয়েছে কোন লাভ হয়নি। যে লাউ সেই কদু। যেখানে বাতাসে টাকা চলে আসে সেখানে অভিযান করে চাঁদাবাজী বন্ধ করা সম্ভব নয়। নৌযানের মালিক পক্ষ ব্যবসা পরিচালনা করার তাগিদে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনা। সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করার কারনে শারিরীক লাঞ্চিত সহ বেশি পরিমাণে টাকা দিতে হয়। এখন বাধ্য হয়ে মাসোহারা দিয়েই চলছে। এমতাবস্থায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ইচ্ছে করলে এই স্পষ্টকে বাৎসরিক লিজের আওতায় নিয়ে আসলে সরকারের কোষাগারে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব।এ প্রক্রিয়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালু আছে। যখন লিজ প্রক্রিয়ায় চলে যাবে নিয়ম অনুযায়ী যারা এ কাজে সম্পৃক্ত যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান করলে নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র অংশগ্রহণ করবে। এতে করে চাঁদাবাজী নিয়ে আধিপত্য বিস্তার লড়াই কমে যাবে, হানাহানি কমে আসবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হবে। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আদায় হবে সরকার লাভবান হবে। এ নিয়ে এখনই সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিতে পারেন।
লেখক – সাবেক কাউন্সিলর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন -(বিএফ ইউজে)