কুমিল্লা সংবাদদাতা।।
কুমিল্লা চান্দিনার মাধাইয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মাধাইয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি । এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণে রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে চান্দিনা পর্যন্ত যানজট থাকলেও সকাল থেকে তা কমতে থাকে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে রাত ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস, পরে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস এবং সবশেষে কুমিল্লা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট করে ৩টি স্টেশনের মোট ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন ফায়ার ফাইটাররা।
তিনি জানান, আগুনের উৎস সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। নির্দিষ্ট করে সংখ্যাটি না বলা গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে, মাধাইয়া বাজারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত হওয়ায় রাতে আগুন লাগার খবরে স্থানীয় বাসিন্দা এবং মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরাও নেমে পড়েন আগুন নিয়ন্ত্রণে। এতে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের মাধাইয়া থেকে দুই প্রান্তে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী মাধাইয়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, চোখের সামনে শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসার অবস্থা। কেউ কিছুই বের করতে পারেননি।
মাধাইয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কে এম জামাল বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিয়া হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কৌশক আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাতে মাধাইয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ রাতে কাজ করে যানজট অনেকটা স্বাভাবিক করে। সকাল থেকে যানজট না থাকলেও মহাসড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে।