নিজস্ব প্রতিবেদক।।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চর গোপালপুর থেকে ভেন্নাবাড়ী পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার প্রকল্পসহ বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগের সড়কের কাজে ফসলি জমি কেটে বালু ভরাট করায় কৃষি জমির ক্ষতির সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার গোপাল গঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের( দুদক) একটি এনফোর্স মেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এ সত্যতা পেয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। দুদক জানায়
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চর গোপালপুর থেকে ভেন্নাবাড়ী পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার প্রকল্পসহ বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জ হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে টিম দেখতে পায়, প্রকল্পের আওতায় রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও সেখানে শুধুমাত্র বালু ফেলে রাখা হয়েছে। তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার কাজ করার সময় অবৈধ ড্রেজার ব্যবহার করে ফসলি জমি কেটে বালু ভরাট করা হয়েছে, যাতে কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। রাস্তার দুই পাশে গাছের খুঁটি এবং ব্যারেলের টিন দিয়ে প্যালাসাইডিং করার কথা ছিল, তবে তা করা হয়নি বলে টিম পর্যবেক্ষণ করে। টিম আরও জানতে পারে, প্রকল্পের সিডিউলে বর্ণিত রাস্তার উচ্চতা এবং ব্যাসার্ধ পরিবর্তন করে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। এসব অনিয়মের ফলে প্রকল্প কমিটি, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বরাদ্দকৃত ২.৪০ কোটি টাকার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
পরবর্তীতে, পাকুড়তিয়া এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কয়েকটি প্রকল্প যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়নি। পাকুড়তিয়া পান্না শেখের বাড়ি থেকে ছোট ডুমুরিয়া দেবেন মণ্ডলের বাড়ি পর্যন্ত এইচবিবি রাস্তায় বরাদ্দ ৪৭,২২,০০০ টাকার কাজ সঠিকভাবে হয়নি। উত্তরপাড়া ৭৬ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বরাদ্দ ৬,০০,০০০ টাকা এবং পারঝনঝনিয়া আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বরাদ্দ ২,২০,০০০ টাকার কাজও যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়নি বলে টিম পর্যবেক্ষণ করে। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যাবলি বিশ্লেষণ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।