নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সুষ্ঠু সরবরাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এবং বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে রাজগঞ্জ বাজারে বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। আজ( ৩ ফেব্রুয়ারি) সোমবার শহরের বিভিন্ন বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার কাঁচাবাজার পরিদর্শনকালে লেবু, শসা, কাঁচা মরিচ, আলু, পেঁয়াজ, মুরগি, গরু, খাসি প্রভৃতি পণ্যের দাম যাচাই করেন। কাঁচাবাজার এর দোকানগুলোতে বিক্রেতা পণ্য ক্রয়ের রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হয়। জেলা প্রশাসক এ প্রসঙ্গে সকল বিক্রেতাকে পণ্য ক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ দেন এবং পরবর্তীতে রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে সতর্ক করেন। এছাড়াও রাজগঞ্জ বাজারে জনসাধারণের হাঁটাচলার পথে অবৈধভাবে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের এসব অবৈধ দোকান অবিলম্বে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দের সাথে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর প্রদানকালে জেলা প্রশাসক জানান যে, এ ধরণের অভিযান সমগ্র জেলা জুড়ে অব্যাহত রয়েছে । এছাড়া তিনি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার এবং একই সাথে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে পবিত্র রমজানের মাহাত্ম ধারণ করে অধিক মুনাফা ও মজুতদারি পরিহার করে চলার আহ্বান জানান। এর পূর্বে জেলা প্রশাসক ঠাকুরপাড়া, কালীতলা কালীমন্দির রোডে ওএমএস এর ডিলারশিপ এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সেখানে অবস্থানকালে তিনি সংশ্লিষ্ট ডিলারকে সমাজের নিম্নবিত্তরা যেন সরকার কর্তৃক পরিচালিত ওএমএস কার্যক্রমের প্রকৃত সুবিধাভোগী হন এবং একই পরিবার থেকে একাধিক সদস্য যেন পণ্য ক্রয় না করে তা নিশ্চিতকরণের নির্দেশনা প্রদান করেন।