মেঘনার লুটের চরে প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপের তত্বাবধানে পরিচালিত কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চল -২ এর কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি সহ প্রতি মাসে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মেঘনা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সাকিব সরকার সহ ১৩ জন নামীয় অজ্ঞাত ১৫থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কোম্পানির এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা।গতকাল শনিবার এ মামলা করেন। অন্যদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সাকিব সরকার বলেন গ্রামের সাধারণ মানুষের জমি ও সরকারি সড়ক, জমি দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ ও তার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের জীবন নিয়ে সঙ্কায় আছি,আমরা হামলার শিকার হয়েও নিরাপত্তার অভাবে থানায় গিয়ে মামলা করতে পারছি না। এজাহার সূত্রে জানা যায় বিবাদীগন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অন্যের সম্পদ লুণ্ঠনকারী প্রকৃতির লোক। আসামীরা বিগত বেশ কিছুদিন যাবৎ মেঘনা থানাধীন দড়ি লুটেরচর গ্রামস্থ ফ্রেশ কোম্পানীর অফিসে কর্মরত বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছে। তাছাড়া ফ্রেশ কোম্পানীর নিবন্ধিত ঠিকাদার তথা লুটেরচর একতা এন্টারপ্রাইজের ১১ জন ঠিকাদার ও সৈকত এন্টারপ্রাইজ ০১জন ঠিকাদার নিয়মিত আমাদের কোম্পানীর বিভিন্ন পন্য সামগ্রী সরবরাহের কাজ করিয়া থাকে।আসামীরা আমাদের কোম্পানীর উক্ত ঠিকাদারদের নিকটও মোটা টাকা চাঁদা দাবী করিয়া থাকে। অন্যথায় ঠিকাদারদেরকে মালামাল লোড আনলোড করার কাজে বাধা প্রদানসহ, ভয়ভীতি দেখাইয়া ঠিকাদারদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করিয়া থাকে। আমার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগন সহ ফ্রেশ কোম্পানীর নিবন্ধিত ঠিকাদারগন বিভিন্ন সময় আমাকে এই সব ঘটনা জানায়। এহেন অবস্থায় ঘটনার তারিখ ও সময়ের কিছুক্ষন পূর্বে ১নং বিবাদীর নেতৃত্বে কতিপয় বিবাদী আমার অফিসে আসিয়া বলে “এই এলাকায় ব্যবসা করিতে হইলে বিবাদীদেরকে মাসিক ১,০০,০০,০০০/-(এক কোটি) টাকা চাঁদা দিতে হইবে” বলিয়া দাবী করে। তখন আমি বিবাদীদেরকে এহেন অনৈতিক দাবী না করার জন্য অনুরোধ করিলে ১নং বিবাদী সহ অন্যান্য বিবাদীগন আমাকে অশালীন ভাষায় গালাগালি করিতে থাকে এবং আমি কিংবা আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী গেইটের বাহিরে গেলে খুন করিয়া ফেলিবে বলিয়া প্রকাশ্য হুমকি ধামকি দিয়া আমার অফিস থেকে বাহির হইয়া যায়। পরবর্তীতে আমি আমার অফিসের গেইট তালাবন্ধ করিয়া দেওয়ার নির্দেশ দিলে গেইটে দায়িত্বরত প্রহরীগন গেইট বন্ধ করিয়া দেয়। ইতিমধ্যে ১নং বিবাদীর নেতৃত্বে ১-১৩নং বিবাদীগন সহ তাহাদের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা বিবাদীগন রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, কিরিচ, হকিষ্টিক, লোহার রড, লাঠিসোটা ইত্যাদি অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে কুমিল্লা ইকোনমিক জোনস্থ ফ্রেশ কোম্পানীর অফিস ভবনের গেইটের সামনে আসিয়া আমাকে সহ কোম্পানীর কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে গালাগালি করিতে থাকে এবং গেইট খোলার জন্য ডাক চিৎকার করিতে থাকে। একপর্যায়ে বিবাদীগন ফ্রেশ কোম্পানীর অফিস ভবনের গেইট ভাঙ্গিয়া অফিস ভবনে প্রবেশ করার চেষ্টা করিতে থাকে। তখন ফ্রেশ কোম্পানীর নিবন্ধিত ঠিকাদারগন সহ তাহাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজন আগাইয়া আসিয়া বিবাদীদেরকে বাধা নিষেধ দিলে আসামীরা সাক্ষীদের উপর চরাও হয়। আসামীরা হলেন বিবাদী: ১। মো: বাবুল সরকার (৫৮), ২। মোঃ তৌহিদ সরকার (৫৫), উভয় পিতা-মৃত আঃ বারেক, ৩। সাকিব (২৫), পিতা-মো: তৌহিদ সরকার, ৪। রাসেল সরকার (৩২), ৫। আব্দুল্লাহ (২৮), উভয় পিতা-মোঃ বাবুল সরকার, ৬। আলম (৪৫), পিতা-মৃত আয়তুল্লাহ, ৭। আরাফাত (২৫), পিতা-কামাল হাউদ, ৮। রাণির (২২), পিতা-জালাল মিয়া, ৯। সাকিব (২২), পিতা-বাবুল বাগ, ১০। শাহপরান (৩৪), পিতা-তোতা মিয়া, ১১। অহিদ (৪৭), পিতা-মৃত আঃ বারেক, ১২। সোহরাব (২৬), পিতা-মহেদ মিয়া, ১৩। মোঃ সোহেল (৩৬), পিতা-সোলেমান, সর্ব সাং-দড়ি লুটেরচর, থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিল্লা সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন।এ বিষয়ে মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন মামলা তদন্তাধীন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।