নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জেলা পরিষদের মাধ্যমে অস্তিত্বহীন প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সরেজমিন তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন (দুদক)।
দুদক রাঙামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহিদ কালাম জানান গত , বৃহস্পতিবার সারাদিন দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা এবং যাদের নামে প্রকল্প দেখানো হয়েছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও জানান, খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন অস্তিত্বহীন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে জেলা পরিষদের মাধ্যমে তিন কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও রাঙামাটিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে এক কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং বান্দরবানে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই বরাদ্দে একটি জনগোষ্ঠী সুবিধা পেলেও বাকিরা সুবিধাবঞ্চিত– এমন অভিযোগে আন্দোলনে নামেন নানা জাতিগোষ্ঠীর লোকজন। তারা পার্বত্য বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমারও অপসারণ দাবি করেন। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে এবং সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে অস্তিত্বহীন প্রকল্প পরিদর্শন করে অভিযান চালিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহমদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটা এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করা হয়। এই টিমকে উল্লিখিত অভিযোগগুলোর প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম দিনে তদন্তে কী পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এনফোর্সমেন্ট কমিটির প্রধান আহমদ ফরহাদ হোসেন