June 25, 2025, 2:13 pm

মেঘনা উপজেলায় মাদকের আগ্রাসন: ধ্বংসের পথে যুবসমাজ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন। ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরণের মাদক এখন সহজলভ্য হয়ে উঠেছে উপজেলার ৮ টিইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে।এই মাদকের করালগ্রাসে পড়ে যুবসমাজ দ্রুতই ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা উপজেলার চন্দনপুর, শেখেরগাঁও, লুটেরচর, মানিকার চর বাজার, সেননগর বাজার, সাতানী,টিটির চর, হিজলতলী, মানিকার চর, মুগার চর, নালিতা পাড়া, নয়া কান্দারগাও, নলচর, চালিভাঙ্গাসহ প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মাদকের জোয়ারে ভাসছে। কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছে প্রতিটি মহল্লায় এদের পিছনে রয়েছে সকল রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গানো কথিত অতি উৎসাহী, পেশি শক্তি সম্পন্ন বখাটে, ক্যাডারদের   সমন্বয়ে গঠিত অদৃশ্য শক্তির অধিকারী সিন্ডিকেট, যার কথিত নাম ” মলম পার্টি”। তারা শুধু মাদক নয় সকল পর্যায়ের অসংগতি তৈরি করে, ধামাচাপা দেওয়া, শালিসি এর নামে বানিজ্য করা,কেউ প্রতিবাদ করলে মবের শিকার করা । স্বরযন্ত্র করে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সাধারণ মানুষকে হয়রানি সহ হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছেন।একাধিক সূত্র জানায় এই কথিত” মলম পার্টি’র সাথে রয়েছে প্রশাসনের যোগসাজশ। প্রতিটি এলাকায় ব্যপক আধিপত্য বিস্তার লাভ করেছে, জমি দখল, জমির অংশ কমদামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি, সহ এলাকায় মাদকের অবাধ বিস্তার ও বিভিন্ন অপরাধের অভয়ারণ্যে দেখা যাচ্ছে কথিত অদৃশ্য এই মলম পার্টির ।তাদের সকল শ্রেনী পেশার ভালো মানুষের রুপ ধরে মব তৈরি করে যাকে তাকে অপমান অপদস্ত করছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা দালালচক্র এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় দুর্নীতিবাজ সদস্যের মদদে এ চক্রটি দিন দিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

একজন অভিভাবক জানান, “আমার ছেলেটা আগে স্কুলে ভালো পড়াশোনা করত। এখন ইয়াবায় আসক্ত হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে ফেরানো যাচ্ছে না।”

স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সচেতন নাগরিক ও সাংবাদিকরা বলছেন, মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর অভিযান না চালালে একটি প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে। তারা প্রশাসনের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন, মাদকের চক্র ভেঙে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

মেঘনা থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অনেক সময় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপের কারণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।”

এদিকে মাদক প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান, প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা, পারিবারিক দায়িত্ববোধ এবং যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে মাদকের এই ছোবলে পুরো উপজেলা ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়বে।বাসিন্দারা এই সকল পর্যায়ের অনাচার থেকে রেহাই চায়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা