August 23, 2025, 9:55 pm
সর্বশেষ:
স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা মহাসড়কে অপরিকল্পিত ইউ-টার্ন: দুর্ঘটনার বড় কারণ জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার হুকুমমতো কাজ করাতে চাইলে চেয়ারে থাকব না : সিইসি কুমিল্লার আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গ্যাজেট নিয়ে গণশুনানি: উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দান মাওয়া পদ্মার পারে যুবদল–ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের ইলিশ ভোজ স্থানীয় স্বঘোষিত ন্যায়পাল ও সমাজে বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতার অভাব মেঘনা উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সাত-আটজন পালালেও ধরা পড়লো এক চাঁদাবাজ তৃণমূলের নেতৃত্বে স্থবিরতা: গণতন্ত্র ও নতুন নেতৃত্ব তৈরির সংকট

চিৎকার শুনে ছুটে আসা স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার নারীকেই মারধর করে

ডেস্ক রিপোর্ট।।

কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর মূল অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার পর তিনি যখন সাহায্য চাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁর ভিডিও ধারণ করা হয়, যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সূত্র : আজকের পত্রিকা

পুলিশ বলছে, ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে। এরপর তাঁরা অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে (৩৮) ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজন—মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মারধর করা ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্যমতে, তিনি প্রায় ১৫ দিন আগে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তাঁর বাড়িতে গিয়ে দরজার বাইরে থেকে ডাক দেন। দরজা না খোলায় ফজর আলী ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের পর ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। কিন্তু তারা প্রকৃত ঘটনা না জেনে উল্টো নারীকেই দোষারোপ করে মারধর শুরু করে এবং সেই অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা বুঝতে পারে, ওই নারী আসলে ধর্ষণের শিকার। তখন স্থানীয়রা ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফজর আলী হাসপাতাল থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।

পরদিন শুক্রবার রাতে সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তোলপাড় হয়। এরপর পুলিশ ওই নারীকে থানায় যেতে উদ্বুদ্ধ করে। গতকাল শনিবার রাতে তিনি মুরাদনগর থানায় মামলা করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হলেও তাঁরা শুরুতে বিষয়টি না বুঝে ভুল করেছেন। পরে যখন আসল ঘটনা জানতে পারেন, তখন লজ্জায় পড়েন। যারা ভিডিও করে ছড়িয়ে দিয়েছে, তাদেরও বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেননি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আমরা বিষয়টি জানতে পারি এবং তাঁকে সহায়তা করি। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

পুলিশ জানায়, ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে অন্য কেউ জড়িত কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা