September 17, 2025, 7:19 pm
সর্বশেষ:
মুহূর্তের কবিতা : শাহীন রেজা কুয়েতে প্রবাসী ইলিয়াস মিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিরাপত্তা কোথায়? হোমনায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার তিনটি দপ্তরে দুদকের অভিযান মেঘনায় মুজাফফর আলী হাই স্কুল এন্ড কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত মুরাদনগরে ১৯৫০ পিস ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে মাদকসহ ৪ ব্যক্তি গ্রেপ্তার ক্রীড়া, স্বাস্থ্য ও কৃষি গবেষণায় অনিয়ম: তিন প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান অবশেষে দুদক চিনেছে মেঘনা উপজেলা: জনমনে স্বস্তি, অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান মেঘনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের ছদ্মবেশী অভিযান:অনিয়মের সত্যতা মিলেছে

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতীক

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফেরার আশাবাদী। পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাঁর এই ঘোষণা শুধু একটি রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের বার্তাই নয়, বরং তা দেশে রাজনৈতিক শান্তি ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার একটি প্রতীকী বার্তা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।তারেক রহমান বলেন, “বিএনপির প্রকৃত শক্তি হলো জনগণ।

 

এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হলে নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকতে হবে, তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “দল বড় হলে দায়িত্বও বড় হয়, ত্যাগের প্রয়োজনও বেশি হয়। আমরা গণতন্ত্রের জন্য রাজপথে নেমেছি, সেই সংগ্রাম এখনো চলছে।”

গণতন্ত্রের পথে সমঝোতার ডাক

বক্তব্যে তিনি রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন— “মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই সঠিক পথ খুঁজে বের করতে হবে।”বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্য কেবল দলীয় আদর্শের নয়, বরং দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার এক ইতিবাচক বার্তা।

দলীয় শৃঙ্খলা ও সংস্কারের বার্তা

দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি বলেন, “একজনের অপকর্মের দায় পুরো দল বহন করতে পারে না। আমাদের সবাইকে দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় দায়িত্বশীল হতে হবে।”
তিনি দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন— “রাষ্ট্রে যেমন গণতন্ত্র চাই, তেমনি দলের ভেতরেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আলোচনার সংস্কৃতি বজায় রাখতে চাই।”

আন্তর্জাতিক বার্তাও স্পষ্ট

তারেক রহমানের দেশে ফেরা শুধু একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক মহলেও একটি ইতিবাচক বার্তা পাঠাবে— বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক পরিসর পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এতে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আস্থা বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়বে।তারেক রহমানের সম্ভাব্য স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে দেশের কোটি মানুষ শান্তি, গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সহাবস্থানের নতুন যুগের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে। যদি তিনি বাস্তবেই দেশে ফিরে গঠনমূলক ও আলোচনাভিত্তিক রাজনীতির পথ বেছে নেন, তবে এটি নিঃসন্দেহে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার বাস্তব বহিঃপ্রকাশ হয়ে উঠবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা