বিপ্লব সিকদার :
প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে টিকে থাকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, সচল থাকে আমদানি, নির্মাণ ও গ্রামীণ অর্থনীতি। শুধু অর্থই নয়, তাঁরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বিশ্বজুড়ে।তবে এই বিপুল অবদানের পরও প্রশ্ন থাকে—দেশ কী দিয়েছে তাদের? সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু যোগ্য মূল্যায়ন কি হচ্ছে প্রবাসীদের? জুলাই বিপ্লব আন্দোলনেও প্রবাসীদের অপরিসীম ভুমিকা। অনেক প্রবাসী পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে দেশে ফিরে এসেছে। তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো সরকারের উচিত। তবে সরকার যে একেবারে কিছুই করেনি বিষয় টি এমন না। যতটুকু করা হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়।প্রবাসীরা দেশে ফিরলে বিমানবন্দরেই শুরু হয় হয়রানি। অনেক দূতাবাসে সেবা দুর্বল, আইনি সহায়তা প্রায় অনুপস্থিত। কর্মস্থলে নানা ঝুঁকির মুখে পড়লেও রাষ্ট্রীয় সহানুভূতি নেই বললেই চলে।এমনকি ভোটাধিকার প্রয়োগ, সরকারি সুযোগ-সুবিধা, কিংবা সামাজিক মর্যাদায়ও তারা পিছিয়ে। পরিবার, পরিজন, সবকিছু রেখে বছরকে বছর প্রবাসে থাকার কারনে সামাজিক ভাবে পরতে হচ্ছে নানা জটিলতায়, অনেক প্রবাসীদের পরিবার জোর জুলুমের শিকার হচ্ছে, হচ্ছে প্রতারণার শিকার। তাই সরকারকে গুরুত্ব সহকারে প্রবাসীদের পরিবারের সর্বাধিক সুরক্ষা দিতে হবে। একটি সভ্য রাষ্ট্র তার প্রবাসীদের সম্মান ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়।প্রবাসীরা দেশের জন্য ঘর ছাড়ে, কিন্তু দেশ কি তাদের পাশে দাঁড়ায়?সমাধান দরকার নীতিগত স্বীকৃতি, ন্যায্য সেবা ও সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় আচরণের মাধ্যমে। শুধু রেমিট্যান্স নয়—প্রবাসীদের মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করাই হবে প্রকৃত কৃতজ্ঞতা।
লেখক : সাংবাদিক।