বিশেষ প্রতিনিধি :
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা এখন চোরাচালান ও মাদক কারবারিদের সক্রিয় ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। মানিকার চর, আলীপুর, রামপুর, নয়া কান্দারগাও সেননগর বাজার, চন্দনপুর, তুলাতুলি বাজার, সাতানী, টিটির চর এলাকাসহ প্রতিটি গ্রামে মাদকের ভয়াল থাবা। শক্তিশালী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে মাদক ও চোরাচালান।
( মানিকার চর প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার মালামাল)
আন্ত:জেলা চোরাচালান চক্রের সদস্যদের সাথে রয়েছে স্থানীয় সিন্ডিকেটের যোগসাজশ। নদীপথসংলগ্ন এলাকাগুলোয় গড়ে উঠেছে একাধিক চোরাচালান ও মাদকপাচার চক্র। গতকাল মঙ্গলবার মেঘনা উপজেলার মানিকার চর বাজার থেকে একটি প্রাইভেট কার সহ ১০ লক্ষ টাকা মাদক ও চোরাচালান পন্য উদ্ধার করে হোমনা থানা পুলিশ। , কিন্তু মূল গডফাদাররা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। চালান ধরতে পারলেও জড়িতদের না ধরায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে নৌপথে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা ও বিদেশি মদ আনা হয়। অনেক সময় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাকআপ থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও চুপচাপ থাকতে বাধ্য হয়।
কেন এখনই অভিযান জরুরি?
*নতুন প্রজন্ম বিপন্ন – স্কুল-কলেজপড়ুয়া তরুণরা মাদকের ছোবলে পড়ছে।
* চোরাচালানে অর্থ পাচার – সীমান্ত ও নদীপথ ব্যবহার করে চাল-চিনি, ডিজেল, ভারতীয় কসমেটিকস পাচার হচ্ছে।
* প্রশাসনের আস্থা সংকট – বারবার মামলা হলেও শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় জনমনে ভীতি তৈরি হয়নি।স্থানীয় প্রশাসন মেঘনাকে রক্ষা করতে হলে কিছু পদক্ষে নিতে পারেন যেমন, বিভিন্ন জায়গায় চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা।স্থানীয় চক্রের গডফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা।নৌ-পথে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের যৌথ টহল জোরদার করা জনসচেতনতা এবং যুবকদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করা।
মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় না দিয়ে কার্যকর ভুমিকা নেওয়া জরুরি,।মেঘনার বর্তমান নিরাপত্তা ও সামাজিক কাঠামো রক্ষা করতে হলে এখনই সমন্বিত, কঠোর ও অবিচল অভিযান প্রয়োজন।