July 9, 2025, 12:40 pm
সর্বশেষ:
মেঘনায় মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং: স্থানীয় গডফাদারদের মদদে অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা মেঘনায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান এখন সময়ের দাবি গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন? জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি মেঘনায় পতিত সরকারের পরেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় সামাজিক বিপর্যয় বেড়েই চলছে আন্দোলনের আগুনে গড়া এক ছাত্রনেতা নাজমুল হাসান মেঘনায় নব্য মাদক সম্রাট : শেল্টারে মুখোশধারী

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা:বালুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রশাসনকে ব্যবহার, লঘু পাপে গুরু দণ্ড?

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা মধ্যপাড়ার পুরনো একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর নিচ দিয়ে চলার সময় বালু বোঝাই একটি বাল্কহেড আটকে পড়ে। এতে সেতুর পিলারে আবারও ক্ষতি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেতুর নিচ দিয়ে এমন ভারী যান চলাচল করে আসছে, যা সেতুর অবকাঠামোগত ক্ষয় ঘটিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের উদ্বেগের মধ্যেই বুধবার (৯ জুলাই) সকালে নতুন করে আবারও এমন ঘটনা ঘটে।ঘটনার পরপরই উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভাল্কহেডটি জব্দ করা হয়। পরে বিকেলে বাল্কহেড মালিক ৩০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করলে তা মুক্তি দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন নাহার শারমীন। অভিযানে সহায়তা করে মেঘনা থানা পুলিশ।

সরকারি স্থাপনায় ক্ষতিসাধনের অভিযোগ
আটকে পড়া বাল্কহেডটির মালিক সাগর হোসেনকে সরকারি স্থাপনায় ক্ষতিসাধনের দায়ে জরিমানা করা হয়। একইসাথে ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয়। সাগরের ভাষ্যমতে, বাল্কহেডটি নরসিংদীর মরিচাঘাট থেকে মেঘনার শিবনগর কবরস্থানের দিকে যাচ্ছিল।

স্থানীয়দের মতে, প্রায় ৬০ ফুট দীর্ঘ সেতুটি বহু বছর ধরে অব্যবস্থাপনার শিকার। ভারী ট্রলার ও বাল্কহেড চলাচলের ফলে সেতুর পিলার একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে সেটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাদের দাবি, সেতুটি দ্রুত সংস্কার করতে হবে এবং স্থায়ীভাবে এর নিচ দিয়ে সব ধরনের ভারী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিলে খাল খনন করে কি লাভ হলো, জনগণের প্রয়জনে যদি ব্যবহার না করা যায় । মানুষের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিনই এই খাল ব্যবহার করা হয়। চলতে গেলে দূর্ঘটনা হতে পারে। যতটুকু ক্ষতি ততটুকু শাস্তি দেওয়া হোক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন সারা মেঘনায় বালু ভরাটের জন্য আনলোড ড্রেজার বসানো হয়েছে। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা কিন্তু কৃষি জমি ভরাট করা হবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। আনলোড ড্রেজার গুলো অধিকাংশ অনুমোদন হীন। সেখানেতো অভিযান পরিচালনা হয় না।

‘প্রশাসনকে ব্যবহার করছে প্রভাবশালীরা’ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এলাকাভিত্তিক বালুর ব্যবসা ও আধিপত্য, দখল নিয়ে প্রভাবশালীদের দ্বন্দ্বের মধ্যে প্রশাসনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারও ছোট ভুলে বড় শাস্তি দেওয়া হলেও, বড় অপরাধীরা রয়ে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।কঠোর অবস্থানে প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন নাহার শারমীন বলেন,“সরকারি স্থাপনার ক্ষতি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। নিয়ম লঙ্ঘন করে বারবার সেতুর নিচ দিয়ে ভারী যান চলাচল করতে পারে না। আমরা আজ জরিমানা করেছি, ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা