July 10, 2025, 6:38 pm
সর্বশেষ:
তারেক রহমানের নির্দেশে ফুলগাজীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ মেঘনার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসার ফলাফলের করুণ চিত্র: দলীয়করণ ও দলাদলির বলি শিক্ষার্থীরা মেঘনায় এসএসসির ফলাফলে  শীর্ষে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি স্কুলের ফলাফলে হতাশা মেঘনায় মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং: স্থানীয় গডফাদারদের মদদে অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা মেঘনায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান এখন সময়ের দাবি গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন? জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি

মেঘনায় এসএসসির ফলাফলে  শীর্ষে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি স্কুলের ফলাফলে হতাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় মেঘনা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান সন্তোষজনক ফল করলেও উপজেলাবাসীর মধ্যে বিস্ময় ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে দৌলত হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তুলনামূলক খারাপ ফল। উপজেলার মোট ১০টি প্রধান মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মানিকারচর সাহেরা লতিফ মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করেছে। বিদ্যালয়টি থেকে ১২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ১৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার ৯৭.৫৪ ভাগ।

ফলাফল তালিকা একনজরে:

মানিকারচর সাহেরা লতিফ মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় ৯৭.৫৪, মুগারচর কে আলী উচ্চ বিদ্যালয় ৯৮. ৫৭, সোনারচর উচ্চ বিদ্যালয় ৯৭.১৪ মানিকারচর এল এল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ৯৭.০৬, মেঘনা উপজেলা আইডিয়াল হাই স্কুল ৯৬.৬৭, চন্দনপুর এম এ উচ্চ বিদ্যালয় ৯৩.৯৮, লুটেরচর মফিজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় ৯৩.৯০, শেখেরগাঁও আব্দুল অদুদ মুন্সী উচ্চ বিদ্যালয় ৮৯.২৯,
মুজাফফর আলী হাই স্কুল এন্ড কলেজ ৮৮.১৪, দৌলত হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৮৭.৫০ ভাগ। মেঘনা উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত দৌলত হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফল এবার ছিল চরম হতাশাজনক। ৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৭০ জন পাস করেছে, এবং কেবল একজন পেয়েছে জিপিএ-৫। উপজেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রত্যাশা অনেক বেশি হলেও ফলাফল অনুযায়ী এটি তালিকার একেবারে নিচের দিকে অবস্থান করছে।

বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

> “সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা সন্তানকে এখানে দিয়েছি। কিন্তু ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি নেই, শিক্ষকরা দায়িত্ব এড়িয়ে চলেন। এর ফলাফল আজ স্পষ্ট।”

একাধিক অভিভাবক ও স্থানীয় বিশিষ্টজনরা মনে করছেন, এই স্কুলে দ্রুত একটি প্রশাসনিক ও একাডেমিক তদন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। অনেকেই শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন।

উন্নতির দিকেও নজর দিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান

অন্যদিকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল ধরে রেখেছে। বিশেষ করে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, মুগারচর কে আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও সোনারচর উচ্চ বিদ্যালয় সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে। শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল হিসেবেই এ সফলতা এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।এই ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শুধু অবকাঠামো নয়, প্রয়োজন কার্যকর তদারকি, মনিটরিং ও শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দুর্বলতা চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা