বিপ্লব সিকদার।।
আজকের বাংলাদেশে রাজনীতির বাতাস ভারী—বিচারহীনতা, জবাবদিহির অভাব ও দমননীতির চাপে জনমানুষ দিশেহারা। এই অন্ধকার সময়ে যারা সত্য, বিশ্বাস ও মানবিকতাকে লালন করেন, তাদের অস্তিত্বই হয়ে ওঠে আশার আলো। ঠিক তেমনি একজন নেতৃত্বের নাম—তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তার প্রভাব অব্যাহত। কিন্তু তার নেতৃত্বের বিশেষত্ব কেবল রাজনৈতিক কৌশল বা দলীয় নির্দেশনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তার প্রকৃত শক্তি লুকিয়ে আছে তাঁর স্বভাব-চরিত্র ও মানুষকে আপন করে নেওয়ার সহজাত ক্ষমতায়।
তারেক রহমানের মাঝে নেই কোনো কৃত্রিমতা। নেই রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে প্রায়শই দেখা যাওয়া ভানভাজন, মুখোশ বা নাটকীয়তা। তাঁর চলাফেরা অতি সাধারণ—একজন সচেতন নাগরিকের মতো। তাঁর মুখের ভাষা মাধুর্যময়, ভাব প্রকাশে স্বচ্ছতা আছে, আর আচরণে আছে একধরনের সহজ আন্তরিকতা, যা অদৃশ্যভাবে মানুষের হৃদয়ে আস্থা ও ভালোবাসা গড়ে তোলে।
যেখানে রাজনীতিকরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে সুরক্ষা বলয়ে নিজেকে আড়াল রাখেন, সেখানে তারেক রহমান নিজেকে জনগণের কাতারে রেখেছেন সবসময়। এ কারণে তিনি আজ “রাজনীতির মানুষ” নন, হয়ে উঠেছেন “মানুষের রাজনীতিক”। তাঁর প্রতিটি বক্তব্যে যেমন স্পষ্টভাবে পাওয়া যায় দেশপ্রেমের ছাপ, তেমনি উঠে আসে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা।
একটি জাতির জন্য সত্যিকারের নেতা সেই, যিনি জনমানুষের কথা শুনেন, বোঝেন, ও প্রয়োজনের সময় তাদের পাশে দাঁড়ান। তারেক রহমান সেই অর্থে একজন ‘প্রতিশ্রুতি নয়, নির্ভরতার নামথ।
বহু প্রচারবিমুখ রাজনীতিকের ভিড়ে, তিনি হয়ে উঠেছেন এক আলাদা পাঠ—যেখানে নেতৃত্ব মানে অহংকার নয়, দায়বদ্ধতা; রাজনীতি মানে ক্ষমতার খেলা নয়, মানুষের কল্যাণ। তার এই ‘অতি সাধারণথ ব্যক্তিত্বই তাঁকে করেছে ‘অসাধারণথ।
এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মকে তারেক রহমানের মতো নেতৃত্বের দর্শন বুঝে এগিয়ে আসার। কারণ বাংলাদেশে রাজনীতি বাঁচবে তখনই, যখন নেতৃত্ব ফিরে পাবে মানবিকতা, স্বচ্ছতা ও হৃদয়ের উষ্ণতা।
লেখক – গণমাধ্যম কর্মী।