স্টাফ রিপোর্টার :
৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার যৌক্তিক সময় বৃদ্ধির দবিতে অনশন করছেন একদল শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ওই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি প্রতিনিধি দল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে এই সংহতির কথা জানান।
এ সময় শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান বলেন, এ ধরনের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার তারিখ মাত্র ৪০ দিনের ব্যবধানে নির্ধারণ করায় সারা দেশের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ, ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিসিএস হলো দেশের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতিনির্ভর একটি পরীক্ষা-যেখানে সাধারণত তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত প্রস্তুতির সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এবার পূর্বঘোষিত নিয়ম ও প্রথা ভেঙে হঠাৎ করে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। যা পরীক্ষার্থীরা স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের ফল বলে মনে করছেন। এতে বিশেষ করে প্রথমবার অংশগ্রহণকারী ও নতুন পরীক্ষার্থীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাদের স্বাভাবিক প্রস্তুতি প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে এবং ন্যায়পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাধাগ্রস্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, একটি সুষ্ঠু, ন্যায়সংগত ও শিক্ষার্থী-বান্ধব পরীক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা পিএসসির নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব। প্রস্তুতির ন্যূনতম সময় না দেওয়া, পরীক্ষার্থীদের মতামত উপেক্ষা করা এবং হঠাৎ করে তারিখ ঘোষণা করা-এসবই পরীক্ষাকে বিতর্কিত এবং অস্বচ্ছ করে তোলে। দেশের মেধাবী তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন অবিচার কাম্য নয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ যৌক্তিক দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হোসাইন নূর, তথ্য গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুহাম্মাদ ফয়জুল ইসলাম, দাওয়াহ ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম খলিল , অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক এস এম কামরুল ইসলাম, যোগাযোগ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ইউসুফ পিয়াস, কার্যনির্বাহী সদস্য তুহিন মালিক, কার্যনির্বাহী সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দীন সহ ঢাকার বিভিন্ন ক্যাম্পাস নেতারা।