কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দড়ি মির্জানগর গ্রামে মেম্বার মজিবুর রহমানের গরুর খামার থেকে ফিজিয়ান জাতের পাঁচটি গরু চুরি হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে যে কোনো একসময় পরিকল্পিতভাবে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোর থেকে শত শত নারী–পুরুষ মেম্বার মজিবুরের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার খামারে ৫টা গরু ছিল—সব নিয়া গেছে। আমি নি:স্ব হয়ে গেছি। এসব গরুর বাজারমূল্য কমপক্ষে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।”
এর আগেও একই গ্রামে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের শত্রুতামূলক আচরণ হিসেবে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
কৃষকদের বড় সম্বল গরু—আর সেটি চুরি হয়ে গেলে পুরো পরিবার পথের ধারে বসে যায় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। এক মধ্যবয়সী কৃষক বলেন, “ছোট থাকতে এই দ্যাশে কোমরে রশি বাইন্দা ঘুমাইতাম। এখন আবার সেই দিনের মতো অবস্থা। নিরাপত্তা নাই।”
উল্লেখ্য, গত আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় চুরি–ডাকাতি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। সভায় গ্রাম পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি তীব্রভাবে সমালোচিত হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বলা হয়—প্রয়োজনে আরও গ্রাম পুলিশ নিয়োগ করে, তাদের সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধি করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য গ্রাম পুলিশকে অধিকতর সক্রিয় করতে হবে।
স্থানীয়রা দ্রুত চোর শনাক্ত, গরু উদ্ধারের পাশাপাশি রাতের নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।