July 10, 2025, 6:30 pm
সর্বশেষ:
মেঘনার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসার ফলাফলের করুণ চিত্র: দলীয়করণ ও দলাদলির বলি শিক্ষার্থীরা মেঘনায় এসএসসির ফলাফলে  শীর্ষে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি স্কুলের ফলাফলে হতাশা মেঘনায় মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং: স্থানীয় গডফাদারদের মদদে অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা মেঘনায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান এখন সময়ের দাবি গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন? জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি মেঘনায় পতিত সরকারের পরেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় সামাজিক বিপর্যয় বেড়েই চলছে

ঢামেকের কাছে ৪০ কোটি টাকা পাওনা হোটেল মালিকরা

২১ জুন ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

করোনা মহামারির শুরু থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্ধারিত ৩০টি হোটেলের বিল বাকি রয়েছে ৪০ কোটি টাকা। আর এ বকেয়া টাকার জন্য ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক গেটের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএইচএ)।

সোমবার ( ২১ জুন) বিআইএইচএ মানববন্ধন শেষে হাসপাতালের পরিচালকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।

সংগঠনটির কো-চেয়ারম্যান খালেদ-উর- রহমান মানববন্ধনে বলেন, ‘করোনার শুরু থেকে চুক্তি মোতাবেক কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়া বাবদ ৩০টি হোটেল নির্ধারিত হয়। কিন্তু এসব হাসপাতালে বকেয়া বিল রয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। আর এ টাকার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি।’ তাই তারা আজ মানববন্ধন করেন এবং স্মারকলিপি দেন বলে তিনি জানান।

খালেদ-উর- রহমান বলেন, ‘গত প্রায় এক বছর ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রমাণাদি সরবরাহ করা হলেও বিলের বিষয়ে কোনও সুরাহা হয়নি।

মানববন্ধনে বলা হয়, গত বছরের জুলাই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যালের কাছে প্রায় তিন মাসে ৪০ কোটি টাকা বিল বাকি রয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এ বকেয়া বিল পরিশোধের জন্যও দাবি জানান তারা।

সংগঠনটির সহ-সভাপতি সাইদুল আলম বলেন, ’৩০ জুনের মধ্যে তাদের প্রাপ্ত বকেয়া বিল পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।’

এ বিষয়ে পদ্ধতি গত কারণে বিল দিতে বিলম্ব হচ্ছে জানিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘আশা করছি, এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।’

হাসপাতালের উপ-পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের বিল বকেয়া রয়েছে। তবে তাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় সবই তারা করেছেন। এখন বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের। সম্প্রতি সেখানে অনেক রদবদল হয়েছে। নতুন কেউ দায়িত্বে এলে তারও সবকিছু বুঝে নিতে দেরি হয়ে যায়। আর কেবল তাই নয়, একজন সচিব পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারেন। তার বেশি বরাদ্দ দিতে গেলে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন লাগে, যার কারণে দেরি হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা