May 9, 2024, 7:18 pm
সর্বশেষ:
দুই পাসপোর্ট অফিসে দুদকের দুটি পৃথক অভিযান মেঘনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা

অন্ধকারের আলোকচ্ছটা ইউএনও রাবেয়া আক্তার

১ অক্টোবর ২০২৩ইং, বিন্দুবাংলা টিভি ডটকম,

বিপ্লব সিকদার :

কুমিল্লা জেলার সর্বশেষ পশ্চিমে মেঘনা – কাঠালিয়া নদী বেষ্টিত উপজেলার নাম মেঘনা উপজেলা। নিম্নাঞ্চল, ভৌগোলিক ভাবে বিচ্ছিন্ন উপজেলা টি অল্প সময় হয় অবকাঠামো দিক থেকে মহাসড়কে সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার সংযোগ হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ভাবে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক কাচা – পাকা সড়ক। অবকাঠামো নির্মাণে গ্রাম থেকে গ্রামের সংযোগ হয়েছে। পরিবর্তন ঘটেছে মানুষের জীবন যাত্রায়। পরিবর্তন ঘটেনি শিক্ষা ব্যবস্থায়। ৮ টি ইউনিয়নে ৬৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি -বেসরকারি মিলে, ১২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দুটি কলেজ থাকলেও দেখভালের অভাবে তেমন আলো ছড়ায় নি। দেড় বছর পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন রাবেয়া আক্তার। তিনি এই অসমতল পথে সামাজিক, রাজনৈতিক, সহ সকল শ্রেনী পেশার দায়িত্বশীলদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করেন, এবং ভারসাম্য বজায় রেখে সকলের সমস্যার কথা বিবেচনায় এনে দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে সমাধানের আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন। “যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত ” এই শ্লোগান টি প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষা খাতে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। এতে করে সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক সহ সাধারণ মানুষের সাথে তৈরি করেছেন সখ্যতা। সাধারণ মানুষ অসংখ্য সেবা পাচ্ছেন নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে যখনই সমস্যা তখনই সমাধানে মানুষের পাশে দাড়ান তিনি। কর্তব্যের খাতিরে যেমন কঠিন তেমনি সর্বদা হাস্যজ্বল এই কর্মকর্তার সাথে সাধারণ মানুষ সুখ দুঃখের কথা বলেন আপন মনে, তিনিও শুনতে বিন্দু মাত্র কার্পণ্য করেননা। যথেষ্ট ধৈর্য ও সু কৌশল অবলম্বন করে হাসিমুখেই সকল সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। রাবেয়া আক্তার মনে করেন বেচে থাকলে যদি সুস্থ থাকি সবকিছু ঠিক থাকে হয়তো ভালো ও বড় চেয়ারে চাকরি করতে পারবো কিন্তু মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের কথা সরাসরি শুনতে পাবোনা। আজকের ভালো কর্ম যেমন মানুষের ভালো বাসা ও দোয়ায় আমাকে অনুপ্রাণিত করে সেই অনুপ্রেরণা নিয়ে ভবিষ্যত কর্মময় জীবনের সারথি হয়ে থাকবে। সম্প্রতি এই উপজেলায় দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছরের মাথায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছেন মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার।জাতীয় শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সভাপতি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তারকে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচন করা হয়। তার এ সাফল্যে মেঘনা উপজেলার উচ্চ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষ সৌজন্য সাক্ষাত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসা, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ার এ অর্জনকে মেঘনাবাসীকে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, জীবনে কিছু কিছু অর্জন দায়বদ্ধতা, কাজের প্রতি উদ্দীপনা ও স্পৃহা বহুগূণে বাড়িয়ে দেয়। আমি মনে করি সকল ইতিবাচক চর্চার মাধ্যমে যে কোনো নেতিবাচকতা পরিহার করা সম্ভব। মেঘনার মতো একটি অনুন্নত উপজেলায় শিক্ষার হার যেখানে কম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়বিমুখ ছিলো, আইসিটিতে ছিলো অদক্ষ; সেখানে আমার সীমিত সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করেছি গত দেড় বছর ধরে পরিকল্পনামাফিক কাজ করে যেতে।

তারই অংশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দিয়ে আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার উদ্দেশ্যে শিক্ষকদের দুই দিনব্যাপী আইসিটি প্রশিক্ষণ দিয়েছি। গত ১ জানুয়ারিতে প্রায় ১৪ টির মতো বিদ্যালয়ে নিজে উপস্থিত থেকে বই বিতরণ উৎসবে শামিল হয়েছি। প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা পর্যায়ে এ বছর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছি। প্রতিটি বিদ্যালয়ে কাবিং চর্চায় উদবুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাব স্কাউট কোর্স করিয়েছি। দৌলত হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার জন্য প্রায় দুই কিলোমিটার এইচবিবির রাস্তা করে দিয়েছি। উল্লেখ্য, বিসিএস (এডমিন) ৩৪ তম ব্যাচের কর্মকর্তা তিনি। এই কর্মকর্তা মেঘনাবাসীর সকলের কাছে এখন অন্ধকারের আলোকচ্ছটা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন।

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা