December 23, 2024, 4:34 am
সর্বশেষ:
কুমিল্লা মেঘনার বৈদ্ধনাথপুরে ঢাকা বনাম চট্রগ্রাম বিভাগ কুস্তি খেলা ৯ জানুয়ারি মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে বিএনপির দুই গ্রুপের আলাদা শ্রদ্ধাঞ্জলি  মেঘনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন মেঘনায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে আওয়ামীলীগের দুসর : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া মেঘনার মাটি- মোশাররফ স্যারের ঘাটি শ্লোগানে মুখরিত মানিকার চর বাজার দৌলত হোসেন সরকারি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত গাছে ফেস্টুন লাগানোর দায়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা: ২৪ ঘন্টায় সকল ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ বিগত ১৫ বছরে ভারতের সাথে যত চুক্তি হয়েছে তা বাতিল করতে হবে : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া মেঘনায় জনাকীর্ণ সেতু নির্মাণের আশায় দেড় যুগ!

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা গোটা জাতির উপর এক জগদ্দল পাথর

 

ফাতেমা আক্তার খানম:

আমরা শিক্ষা ব‍্যবস্হায় যে কতটা পিছিয়ে গেছি তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবেনা। এস এস সি পরীক্ষায় পাচঁটি বিষয় থাকবে। কোন গ্রুপ থাকবেনা। পড়ালেখার একটা সময় আছে। অনেক মেয়েদের এস এস সি পাশের পর বিয়ে হয়ে যায় তারপরও লেখাপড়া চালিয়ে রাখে। যারা এস এস সি পযর্ন্ত তুখোড় শিক্ষার্থী থাকে তাদের পড়াশোনার ব‍্যঘাত ঘটেনা। বতর্মানে পাঁচ বিষয় পাশ করা শিক্ষার্থীদের সকল বিষয় নতুন করে শুরু করতে হবে। আমরা ধনসম্পদই শুধু সঞ্চয় করিনা। শিক্ষাও সঞ্চয় করে রাখতে হয়। শিক্ষা হল ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বতর্মান কারিকুলামে এস এস সি পযর্ন্ত যে জ্ঞান অর্জন হবে। এইচ এস সি তে কতটুকু উপকারে আসবে? আমাদের সময় সাইন্স ইংলিশ মিডিয়ামে পড়তে হত। আমরা নবম দশম শ্রেণিতে physics chemistry biology elective mathematics খুবই ভালভাবে পড়েছি বলে এইচ এস সি তে কোন সমস্যা হয়নি। এখন একজন শিক্ষার্থী যদি এইচ এস সি তে নতুন করে সাইন্স পড়া শুরু করে সে কি বুঝবে? অনেক শিক্ষার্থীদের ও বিষয়টি বোধগম্য নয়। মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের মানবিক শাখায় পড়তে অসুবিধা হবেনা কিন্তু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবার সপ্ন যারা দেখে তাদের অবস্হা আগেকার বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অনুমান করতে পারবে। যারা মানবিক বিষয়ে পড়ালেখা করেছে তারা বিষয়টি মোটেও বুঝবেনা। বতর্মান শিক্ষা ব‍্যবস্হায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে না পারলে অর্থাৎ আগের অবস্থানে না আসতে পারলে জাতির শিক্ষা ব‍্যবস্হা মুখ থুবড়ে পরবে। গত বছর আমার নাতি বাংলাদেশে আসলে তার সিলেবাস দেখে যা দেখলাম আমরা এইচ এস সি তে যা পড়েছি তার অর্ধেক নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ানো হয়। পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে আমাদের সন্তানরা যদি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকে এ দোষ কার? বতর্মানে পড়ালেখা না থাকলেও উপকরণ কিনার সামর্থ্য অনেক মা- বাবারই নেই! এর মধ্যে আবার শিক্ষকদের জন্য খাবারের আয়োজন ক্লাস পার্টির নাম করে শিক্ষকদের ভুড়িভোজ উপহার সামগ্রী দান করা। শিক্ষা নেই আছে শুধু নেয়ার প্রবনতা।একটি তিন টাকা দামের কলম আর এক দিস্তা খাতা কিনতে যে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অর্থ থাকেনা সেখানে প্রতি পনর বিশ টাকার signature pen বিভিন্ন পোষ্টার পেপার আরও অন‍্যান‍্য উপকরণের চাহিদা মেটানো কি অভিভাবকদের পক্ষে সম্ভব? আমার সময়ে এমনটি হলে আমার পড়ালেখাই বন্ধ হয়ে যেত। বাংলাদেশে অনেক কিছুই হচ্ছে যে যেভাবে পারছে লুট করছে। বানিজ‍্য মন্ত্র বলেন তিনি অসহায় ! এ দেশের এমন অবস্হার জন্য দায়ী কে বা কারা। এ দেশকে শৃঙ্খলিত করা খুবই প্রয়োজন । বিষয়টি আওয়ামীলীগ বা বিএনপির নয় গোটা জাতির উপর এক জগদ্দল পাথর চেপে বসেছে। পরিত্রানের দ্রুত প্রয়োজন ।

লেখক, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (মাধ্যমিক)


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা