বিপ্লব সিকদার :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৮ মে। খুবই সন্নিকটে।” শফিকুল আলম “কে ভিন্ন ভিন্ন মতে উপলব্ধি করা হচ্ছে। এটা দোষের কিছু না। দলমত নির্বিশেষে শফিকুল আলম মানুষের মন জয় করেছেন সেটা উনার কর্মের মাধ্যমে। উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে ইতিবাচক, নেতীবাচক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেঘনার মানুষের কথা উঠে এসেছে। তবে যারা একেবারে অতিসাধারণ, যারা ফেসবুক বুঝেনা, খেটে খাওয়া মানুষ, তারাই কিন্তু অধিকাংশ ভোটার, তাদেরও কিন্তু একটা মতামত আছে।সেই মতামত গুলো তুলে আনা গণমাধ্যম কর্মীদের কাজ। কেন শফিকুল আলমের প্রতি মানুষের দূর্বলতা?
উত্তরে বলা যায় শফিকুল আলম প্রথমে এই চরাঞ্চলের মানুষকে সকলের সহযোগিতায় একটি ঠিকানা দিয়েছে “মেঘনা উপজেলা ” এই ঠিকানায় এই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে, গোলামীর জিঞ্জির থেকে মুক্তি পেয়েছে। ফলে অনেকে আইন খুজবেন, ট্রল করবেন, যে যাই করেন এটাই সত্য এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ শফিকুল আলমকে এই উপজেলার স্থপতি, রুপকার ‘ সত্য উপাধিতে ভূষিত করেন। এটা ভালবাসা, কর্মের ভালোবাসার প্রতিফলন।মেঘনার আপামর সাধারণ জনগোষ্ঠীর সাথে কথা বলে তাদের মনের কথা তুলে আনতে গেলে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষ মনের ভালোবাসার কথা বলতে চায় কিন্তু কোন এক অদৃশ্য অপশক্তির কাছে জিম্মি থাকায় কপালে ভাজ পরে যায়। আবার কেউ কেউ সত্য বলেই ফেলেছে, আমাদের যিনি ঠিকানা দিয়েছেন ভাগ্য পরিবর্তন বলেন আর ছাতা হিসেবে ছায়াটা তিনিই দিয়েছেন। আমরা রাজনীতির মারপ্যাঁচ বুঝিনা। এমপি কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যান এর পার্থক্য করার মত আমাদের যোগ্যতা নাই এইটা বুঝি তিনি কোন পদে না থাকলেও আমাদের জন্য কাজ করেন, প্রকল্প আনতে দৌড়াদৌড়ি করেন। বিগত দিনে এনেছেন, প্রমানিত। আবার অনেকে পদে থেকেও সরকারি গতানুগতিক বরাদ্দ যা আছে এর বাইরে কাজ করার স্বক্ষমতা দেখি নাই। তাই বলি শফিকুল আলম আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করে বলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন, গভীর ভাবে ভেবে দেখুন যদি মেঘনাবাসী আর একটু কাজ করতেন আজ তিনি অবশ্যই এমপি হয়ে যেতেন। ফলাফল কিন্তু এটাই বার্তা দিয়েছে। এবার পার্থক্য করা যাক এই শফিকুল আলম ৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত হয়েছিলেন তিনি নেননি কারন তিনি বলেছিলেন আমার দেশের চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আগে গোলামীর জিঞ্জির থেকে মুক্ত করতে হবে এর জন্য প্রয়োজন একটি উপজেলা! তিনি অনেক চড়াই-উতরাই পার করে সেটি করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় আসন পরিবর্তনের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে আজকে যারা উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন বা হবেন ভাবতেছেন তারাও রাজনৈতিক স্বাধীনতা চেয়েছিলেন সেটা হলো আসন পরিবর্তন। তিনি সেটাও করেছন। মেঘনার কিছু মানুষের ভুল স্বীদ্ধান্তের কারণে মেঘনাবাসীকে সেই উন্নয়ন করার সাংবিধানিক পদ থেকে হারতে হয়েছে। শফিকুল আলম হারেনি, হেরেছে মেঘনাবাসীর কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন। আরও অনেক মন্তব্য ও বাস্তব সম্মত কথা শফিকুল আলম সম্পর্কে তুলে এসেছে সাধারণ মানুষের মুখ থেকে সেগুলো সময় স্বল্পতার কারনে তুলে ধরতে পারছিনা,তবে অনেক সাধারণ মানুষ অসাধারণ চিন্তা করে বলেছেন হয়তো মেঘনাবাসীর ভাগ্যে সামনের দিনগুলো হবে, অনেক কঠিন,থাকবেনা কোন সুশাসন, ঘটবে সামাজিক বিপর্যয়।অশনিসংকেত মোকাবিলায় একটা পথ খোলা আছে মনে করেন সচেতন মহল সেটা হলো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল মত নির্বিশেষে যারা প্রার্থী হচ্ছেন সেই সম্মানিতরা যদি অন্তত মেঘনার মানুষের কথা ভেবে শফিকুল আলমকে সম্মান দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেই আসনে বসাতে পারে।অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন এত বড় চেয়ার কেউ ছেড়ে দেয়? হ্যা রাজনীতি হলো মাটিও মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য ছাড় দেওয়া যেতে পারে। যদি শফিকুল আলম ৯১ তে এমপি মনোনয়ন ত্যাগ করে উপজেলা বাস্তবায়ন না করতেন তা হলেতো কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার কথা চিন্তা করতে পারতেননা, রাজনীতিতে প্রতিটি দলেই কেউ উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হতে পারতেননা, কেউ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হতেননা, বাংলাদেশে অনেক নজির আছে নিজের শিকড়কে, বাচাতে যারা অবদান রেখেছে তাদের জন্য এমন ছাড় অনেকেই দিয়েছেন। যদি দেশপ্রেম থেকে রাজনীতিটা লালন করেন। এর জন্য প্রয়োজন সুশীল, সহ সকল জনগোষ্ঠীর অকুন্ঠ সমর্থন। গ্রামের ভাষায় বলে তৈয়ার পোলার বাপ হওয়া সহজ কিন্তু পরিচর্যায় ঘাটতি হলে স্বার্থকতা নেই। যারা শিক্ষিত, মার্জিত, দেশে এবং প্রবাসে আছেন সকলের মেঘনার এই ক্লান্তি লগ্নে মুখ খোলা উচিত। শফিকুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নয় যারা প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন তাদের দেওয়া সম্মানে নিজেরা প্রার্থী না হয়ে শফিকুল আলমকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান বানানো এখন সময়ের প্রয়োজন এই বক্তব্যটা অন্তত গুনীমান্যিরা তুলে ধরুন। আবার কেউ কেউ হয়তো বলতে পারেন যে এই লেখক শফিকুল আলমের চামচা,বা কিছুর বিনিময়ে লিখেছেন, হ্যা মন্তব্য যা ইচ্ছে তাই করতে পারবেন তবে নেতীবাচক কোন মন্তব্য সঠিক নয়। মেঘনার মানুষের কথা ভেবে গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিস্থিতি, বিবেচনা করে আজকের এই মন্তব্য প্রতিবেদন লিখা। ভেবে দেখবেন। আমার ভাবনার ব্যত্যয় ঘটলে ভুল না শুদ্ধ তাও প্রমান পাবেন হয়তো নির্বাচনের পর। বেচে থাকলে দেখা হবে, কথা হবে। আবারও বলছি মেঘনার সাধারণ মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সকল জনগোষ্ঠীর সোচ্চার হওয়া জরুরি। হ্যা একটি কথা বলে রাখি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মহল কয়েক হাজার আইডি অর্থের বিনিময়ে পরিচালনা করছেন যেন শফিকুল আলমকে কেউ উপজেলা নির্বাচন প্রশ্নে লিখলেই নেতীবাচক মন্তব্য করা হয় যেন প্রকৃত মন্তব্য আড়াল হয়ে যায়। আজ একজন ফেসবুকে লিখেছেন শফিকুল আলমের সাথে কারো তুলনা নেই। আসলেই সত্যিই লিখেছেন আমি শুধু এই লেখার সাথে যোগ করতে চাই মেঘনার মাটিও মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে শফিকুল আলমকে সম্মানিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হোক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
লেখক – গণমাধ্যম কর্মী।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।