বিপ্লব সিকদার।।
সাবেক আইজিপি বেনজির আহম্মেদ ও এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতির মাধ্যমে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দুদক। তদন্তে প্রাথমিক পর্যায়ে সত্যতা পাওয়ায় তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য দুদক নোটিশ জারি করেছে।
মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এসব কথা জানান।
দুদক সচিব বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী মিসেস জীশান মীর্জা, জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। বর্ণিত সম্পদ ছাড়াও অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে-বেনামে, দেশে-বিদেশে আরো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়ায় তাদের বরাবরে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য (শুক্ত ও আবগারি) ড. মো. মতিউর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হস্তি ও আন্ডারইনভয়েসিং। ওভারইনভয়েসিং এর মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক গঠিত অনুসন্ধানকারী টিম কর্তৃক অনুসন্ধান শেষে কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে
ড. মো. মতিউর রহমান এবং তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম পক্ষের সন্তান আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্নব, প্রথম পক্ষের সন্তান ফারজানা রহমান ইপ্সিতা ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলীর নামে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ বিধি ১৭(১) মোতাবেক সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএর সাবেক চেয়ারম্যান (সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক) ড. মো. শামছুদ্দোহা খন্দকার এবং তার স্ত্রী মিসেস ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচার করার অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
সাদিক এগ্রোর অভিযানে নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরুর সন্ধান পেয়েছে দুদক, এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে দুদক সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুদক এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে, পরে জানানো হবে।
(