খাগড়াছড়ি, প্রতিনিধি : আজ আষাঢ়ী পূর্ণিমা মারমা ভাষা (ওয়াছো হ্লাব্রে) বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম সামাজিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান । খাগড়াছড়ির সকল বৌদ্ধ বিহারে যথাযোগ্য মর্যাদা মধ্যদিয়ে আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালের ঐহিহ্যবাহী য়ংড বৌদ্ধ বিহার দায়ক দায়িকাবৃন্দ সমাগম হয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে ধর্মীয় পতাকায় উত্তোলন, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্টপরিখারা দান, সংঘ দান, ভিক্ষু সংঘের পিন্ডদান, চীবর দান, ধর্ম দেশনা সভাসহ হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বিভিন্ন দানীয় বস্তু দানসহ দেশের সকল জাতির মঙ্গল কামনা বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে দায়ক দায়িকাদের উদেশ্য ধর্ম দেশনা প্রদান করেন য়ংড বৌদ্ধ বিহারে বিহার অধ্যক্ষ ।
আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের তাৎপর্য্যপূর্ণ ও পবিত্রময় দিন। আজ পূর্ণিমা দিন থেকে তিন মাস বর্ষাবাস পালন করবে ভিক্ষু এবং সাধারণ দায়ক ও দায়িকারা। তিন মাস ভিক্ষুরা ধর্ম শিক্ষা অনুশীলন করবে। সাধারন দায়ক দায়িকারা ধ্যান সাধনাসহ পঞ্চশীল ও অষ্টশীল পালন করবে। ভিক্ষুরা বর্ষাবাস তিন মাস অন্য বিহারে কাজে গেলেও নিজ বিহারে এসে রাত্রিযাপন করেন। এ বর্ষাবাস অনুসারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সিনিয়র জুনিয়র হিসেব করা হয়। যে ভিক্ষু বর্ষাবাস অথাৎ (ওয়াং) বেশী হবে সেই সিনিয়র ভিক্ষু হিসেবে গণ্য করা হয়।
মারমা সম্প্রদায়ে সমাজের রীতি অনুসারে যুবক যুবতীরা বর্ষাবাস এ তিন মাস বিবাহ আবদ্ধ করতে পারবে না।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।