October 8, 2024, 3:59 pm

নুসরাত কে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবল রাসেল পুরুষ্কৃত হতে পারেন।

১৭ মে ২০১৯ ,বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

সৈয়দ কামাল,ফেনী থেকেঃফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি’র শরীরে কেরসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার সাথে জড়িত আসামীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণে,গাফিলতির বিষয় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আসা ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটির সদস্যদের চোখে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ফেনীর এসপিসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহেলা ও গাফিলতি প্রমাণ যেমন মিলেছে,তেমনি অগ্নিদগ্ধ রাফিকে কোলে তুলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ কনস্টেবল রাসেলের ভূমিকাও ছিল সাহসীপূর্ণ।প্রতিবেদনে এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোঃসোহেল রানা গনমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,প্রতিবেদনে পুলিশ কনস্টেবল রাসেলের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে,অগ্নিদগ্ধ রাফিকে রাসেল কোলে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।এজন্য তার হাত পুড়ে গেছে।নুসরাতকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া না হলে সে হয়তো ঘটনাস্থলেই মারা যেত।ঘটনার সময় (৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে দশটায় মাদ্রাসার গেটে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে পরীক্ষা কেন্দ্রের ডিউটি করতে রাসেলসহ তিন কনস্টেবল দায়িত্বরত ছিলেন।কিন্তু অগ্নিদগ্ধ রাফিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মাদ্রাসার দারোয়ান মোঃমোস্তফা ছাড়া অন্য কেউ সহযোগীতার জন্য এগিয়ে আসেনি।যেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টিকে অবহেলার চোখে দেখেছেন সেখানে কনস্টেবল রাসেল পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশের আইজিপির নির্দেশেই গত ১৬ এপ্রিল পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (মিডিয়া) রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।এ তদন্ত টিমের অপর সদস্যরা হচ্ছেন সিআইডি চট্টগ্রাম রেঞ্জের একজন বিশেষ পুলিশ সুপার,পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,পুলিশ সদর দফতরের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন পরিদর্শক।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা