November 8, 2024, 9:32 pm

গজারিয়ায় রাস্তার কাজ নিয়ে জনতার মাঝে মিস্ত্র প্রতিক্রিয়া।

২০ মে,২০১৯ ,বিন্দুবাংলা টিভি. কম,এম ডি ওসমান:   গজারিয়া-ভবেরচর-মুন্সীগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ ও মানউন্নতকরণ কাজের অংশ হিসেবে চলছে রাস্তায় আরসিসি ঢালাই। বৃষ্টিতে রাস্তার ক্ষতি ও ভাঙনরোধে সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় চলছে টেকসই আরসিসি ঢালাই। তবে কাজের ধীরগতি ও মান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

গজারিয়া উপজেলা প্রান্তে ভবেরচর ইউনিয়নের শ্রীনগর ও বাজার এলাকায় রাস্তার দীর্ঘ স্থায়ীত্বের জন্য আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তা। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে রাস্তার ক্ষতি ও ভেঙে যেত। ওইসব স্থানগুলোতে করা হচ্ছে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ।

যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে প্রথমে রাস্তার এক পাশে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে রাস্তার ঢালাইকৃত পাশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিয়ে অপর পাশে শুরু হবে পুরো রাস্তার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ।

সূত্র থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে আরসিসি ঢালাই আনুমানিক ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২.৭৫ মিটার প্রস্থ কাজ হচ্ছে। পুরো রাস্তার কাজ হলে ৫.৫ মিটার প্রশস্ত হবে। ১৪ ইঞ্চি উচ্চতার মধ্যে ১০ ইঞ্চি পুরুত্ব আরসিসি ঢালাই(উপরে) এবং ৪ ইঞ্চি পুরুত্ব সিসি ঢালাই (বেইজ) করা হয়েছে। আরসিসি ঢালাইয়ের কাজে কংক্রিট ও ৪ সুতা এবং ৫ সুতা রড ব্যবহার করা হয়েছে।

স্থানীয় জনসাধারণ মহাসড়কের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আক্ষেপ করে বলেন, শুরু থেকেই কাজ খুব ধীরগতিতে চলছে। কাজের গতি আরও গতিশীল হলে রাস্তার কাজ অনেকটা এগিয়ে যেত। এমনিতে গ্রীষ্মের দাবদাহ তার উপর রাস্তার ধুলোবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। রাস্তার পাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, রাস্তার কাজের গতি অনেক ধীর। ধারাবাহিকভাবে কাজ হলে এলাকার মানুষজন সহজে রাস্তায় চলাচল করতে পারতো। বর্তমানে রাস্তায় ধুলোবালিতে চলাচল করা কষ্টকর। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুম আসছে আবার বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে, ভোগান্তি আরও বাড়বে। বর্ষার আগে কাজ শেষে হলে ভালো হত। তাছাড়া যেসকল স্থানে রাস্তা কার্পেটিং হবে সেসকল স্থানেও কাজ ধীরস্থিরভাবে চলছে।

ভবেরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা বিশ্বনাথ শীল বলেন, উন্নত রাস্তা হবে এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। কিন্তু কাজের গতি আরও দ্রুত হলে এলাকাবাসী অনেক উপকৃত হত।

ভবেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মো. লিটন বলেন, কাজের মান মোটামুটি ভালো। তবে ফিনিশিং খারাপ। আর কাজের অগ্রগতি ধীরস্থির ভাবেই চলছে।
মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরান রায় জানান, মোট তিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড থেকে মুন্সীগঞ্জ সদর পর্যন্ত তিনটি ভাগে ১২.৬০ কিলোমিটার সড়কের কাজটি পেয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান গজারিয়া উপজেলার প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কের কাজ পেয়েছে। যার মধ্যে ৯৫০ মিটার আরসিসি ঢালাই হচ্ছে। আর বাকি রাস্তা কারপেটিং হবে।

তিনি বলেন, বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় রাস্তা কাজ একটু ধীরগতিতে এগুচ্ছে। আর কার্পেটিং রাস্তার কাজ শুরু হতে আরো ৬ মাস লাগবে। এই বর্ষা মৌসুম শেষ হলে কার্পেটিং রাস্তার কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা