• সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক মেঘনায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এখন সময়ের দাবি মেঘনায় জুনিয়র বৃত্তি পরিক্ষায় ৯ শতাংশ নীরব অনুপস্থিতি: পরীক্ষার হলের বাইরে পড়ে রইল ভবিষ্যৎ আগামীকাল মেঘনায় আসছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মেঘনায় অবৈধ করাত কলের দখল, প্রশাসনের নীরবতা রহস্যজনক দুদক অধ্যাদেশ ২০২৫: সংস্কারের নামে কতটা বাস্তব পরিবর্তন? কুমিল্লায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সর্দার সাদ্দামসহ ৭ জন গ্রেফতার, অস্ত্র ও পিকআপ উদ্ধার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে জনসমুদ্র—কনকনে শীত ভেদ করে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষা সিডিএতে প্ল্যান অনুমোদনে ঘুস ও হয়রানির অভিযোগে দুদকের অভিযান একদিনে তিন জেলায় দুদকের অভিযান , ফাঁস অনিয়মের চিত্র

সিলেটে প্রভাষক সাইফুরের লাশ ফেলার দায় স্বীকার।

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৭০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ মে, ২০১৯

২৪ মে ২০১৯ ,

বিন্দুবাংলা টিভি .কম,

স্টাফ রিপোর্টার:সিলেট নগরীর মদন মোহন কলেজের খন্ডকালীন প্রভাষক সাইফুর রহমান খুনের মামলায় লাশ বহনকারী সেই সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হাফিজুর রহমানকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর রিকাবীবাজার থেকে চালক হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ মহানগর ৩য় হাকিম আদালতে ধৃত হাফিজুরকে হাজির করে। এ সময় সে আদালতে লাশ ফেলে আসার ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন ওই আদালতের বিচারক মো: সাইফুর রহমান। গ্রেফতারকৃত হাফিজুর রহমান নেত্রকোনা উপজেলা ঠাকুরকোণা গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার পুত্র। বর্তমানে সে শাহপরাণ থানার ২নং ওয়ার্ডের টুলটিকর মিরাপাড়াস্থ বাবুল মিয়ার কলোনিতে বসবাস করতো।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা থানার এস আই শিপলু চৌধুরী জানান, ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে ঘটনার পরদিন গ্রেফতার করে পুলিশ তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সিএনজি চালককে খুজতে থাকে। এরপর বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সে আদালতে কলেজ শিক্ষক সাইফুরের লাশ ফেলে আসার ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল জানান, হাফিজুরকে গ্রেফতারের পর গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে এ সময় আদালতে সে লাশ ফেলে আসার কথা স্বীকার করে। আদালতে হাফিজুরের জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, প্রভাষক সাইফুরের লাশ নগরীর হোটেল মেহেরপুর থেকে দক্ষিণ সুরমার হাওরের পাশে ফেলে আসার ব্যাপারে তাসনিম রুপা ও মুজাম্মিল হোসেনের সাথে চুক্তি হয় হাফিজুরের। বড় অংকের অর্থের লোভে লাশ ফেলে আসে বলে স্বীকারোক্তিতে জানায় হাফিজুর।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ দক্ষিণ সুরমার তেমুখী বাইপাস এলাকা থেকে কলেজ শিক্ষক সাইফুর রহমানের লাশ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত কলেজ শিক্ষক সাইফুরের মা বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর পর তাসনিম রুপা ও মুজাম্মিল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেন তারা। ত্রিমুখী প্রেমের জেরে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জবানবন্দির বরাত দিয়ে জানায় পুলিশ। সুনামগঞ্জের ছাতকের আলমপুর গ্রামের মোজাম্মিল হোসেন ও শাহপরান এলাকার খিদিরপুর গ্রামের শফিকুর রহমানের মেয়ে তাসনিম রুপা।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন