স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার রাতে মা-মেয়েকে থানায় নিয়ে গেলে পুলিশের কাছে বাবার যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দেয় ওই ছাত্রী। এ সময় সে জানায় ধর্ষণ করতে বাবাকে সহযোগিতা করত তারই মা।
মেয়েটি জানায়, তার বাবা গত ২ জুলাই রাতে প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। একইভাবে আরও ২/৩ বার ধর্ষণের শিকার হয় সে। বাবার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি মেয়েটি।
সর্বশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ছোট ভাইবোন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে আবারও ধর্ষণ করতে গেলে সে তার বাবাকে বলে, কাল আমার কোরআন মজিদ পরীক্ষা। আমার সঙ্গে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেন। কিন্তু এতেও মন গলেনি বাবা নামধারী ওই পাষণ্ডের।
মেয়েটি জানায়, সে চিৎকার করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরত। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে তাকে গলাটিপে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে পুঁতে ফেলারও হুমকি দিত তার বাবা।
মেয়েটি আরও জানায়, ঘটনাটি প্রথমে তার দাদীকে বলে। কিন্তু দাদী কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় গত ১৪ জুলাই তার চাচাকে জানায় বিষয়টি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, বৃহস্পতিবার মেয়েটির চাচার কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর তারা মেয়ের মুখে অভিযোগটি শোনেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে আসেন তারা।
রামগড় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, মেয়ে ও তার মাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মেয়েটি একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে এবং তার মাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষক বাবাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।