October 6, 2024, 7:56 am
সর্বশেষ:
তিতাসকে একটি মডেল উপজেলায় রুপান্তর করা হবে : ড. মারুফ হোসেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইউনূসের সংলাপ : নির্বাচন সংস্কারের রোডম্যাপ দাবি মেঘনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় করা দুই অভিযোগ প্রত্যাহার শেরপুরে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম, ৩ জনের মৃত্যুর খবর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ মেঘনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ড.মারুফ ও সেলিম ভুইয়ার বিরুদ্ধে থানায় পৃথক অভিযোগ ছাগল উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম আমাদের একটি নতুন দেশ নির্মাণ শুরু করতে হবে : ড. ইউনূস সুনামগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুন, একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু

বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রিয়া সাহা।

২১ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,     ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রিয়া সাহা। রোববার (২১ জুলাই) ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও বার্তায় তিনি এ ব্যাখ্যা দেন।

প্রিয়া সাহা তার বেসরকারি সংস্থা ‘শারিথর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ওই বার্তায় বলেন, ‘১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার ছিল ২৯ দশমিক ৭ ভাগ। আর ২০০১ সালের জরিপ অনুযায়ী এখন সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার ৯ দশমিক ৭ ভাগ। এখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ১ কোটি ৮০ লাখ। তার মানে বিপুলসংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছেন। ১৯৪৭ সালের পর এখন যে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রয়েছেন, তার সঙ্গে হিসাব মেলালেই আপনারা বুঝতে পারবেন আমি কী বলতে চেয়েছি।

গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. আবুল বারকাতের গবেষণার উদাহরণ দিয়ে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘আমি এক সময় তার (আবুল বারকাত) সঙ্গে কাজ করেছি। আবুল বারকাত বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই গবেষণায় দেখিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ জন সংখ্যালঘু বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। আমি সেই গবেষণা থেকেই রেফারেন্স দিয়েছি।

প্রিয়া সাহা বলেন, ‘২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, সেটা সকলেই জানেন। আর আমার নিজ গ্রামে ২০০৪ সালে ৪০টি হিন্দু পরিবার থাকলেও এখন সেই সংখ্যা মাত্র ১৩টি।

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আমন্ত্রণে আমি এখানে এসেছি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে আয়োজিত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও যোগ দেওয়ার উদ্দেশে আমি এখানে আসি। আমি হঠাৎ করেই এখানে আসি। সে কারণে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা সেটা জানেন না। ঐক্য পরিষদের নেতা রানা দাশ গুপ্ত বা বাদলদা এখানে আসার কথা জানতেন না।

এছাড়া এর আগেও একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন বলে ভিডিও বার্তায় জানান প্রিয়া সাহা।

এই নারী গত ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু ‘গুমথ হয়ে গেছে। তার ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জমি কেড়ে নেওয়া। মুসলিম উগ্রবাদীরা এটা করেছে, এতে রাজনৈতিক শক্তির মদদ রয়েছে। প্রিয়া সাহার এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা