২১ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
সৈয়দ কামাল,ফেনী থেকেঃদেশের সীমান্তে মাতৃভূমি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং কালোবাজারি রোধে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে রাতদিন দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি।এই ধারাবাহিকতায় ফেনীর ১০২ কিলোমিটার সীমান্তে বর্তমানে এই দায়িত্বটি পালন করছে, ফেনীর জায়লস্কর ৪ ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র জোয়ানরা।এই ব্যাটালিয়নের পরিচালক হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন,তিনি হলেন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২ টি রাষ্ট্রীয় সসম্মাননা পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রকৃত দেশ প্রেমিক লেঃ কর্নেল মোঃনাহিদুজ্জামান (বিজিবিএম,পিজিবিএম)।যিনি ইতিমধ্যে ফেনীর ১০২ কিলোমিটার সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত কালোবাজারি ও মাদক প্রাচারকারীদের জম হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন।
লেঃ কর্নেল নাহিদুজ্জামান ফেনীর ১০২ কিলোমিটার সীমান্তে দায়িত্বরত ৪ ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র পরিচালক পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই,সীমান্তে অবস্থানরত কালোবাজারি ও মাদক প্রাচারকারীদেরকে এই পথ প্ররিহার করণে প্রাথমিক সর্তকতা বানী হিসেবে তার কঠোর অবস্থানের বিষয়টি অভিনব কায়দায় জানিয়ে দিয়েছেন।যা এরপূর্বে এই সীমান্ত এলাকায় দায়িত্ব পালন করে যাওয়া অন্য কোন ব্যাটালিয়ন পরিচালককে করতে দেখাযায়নি।তিনি কালোবাজারি ও মাদক প্রাচারকারীদেরকে এই পেশা পরিহার করণে প্রাথমিক সুযোগ দানে, ফেনীর ১০২ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে যেসব স্পট দিয়ে অবৈধ ভাবে সীমান্তের ওপার থেকে কালোবাজারীরা ভারতীয় শাড়ি,থ্রি পিছ,কাঠ ও গরুসহ বিভিন্ন পণ্য প্রাচারকরে নিয়ে আসতো এবং যেসব স্পট দিয়ে মাদক প্রাচার হত,এই স্পট গুলির প্রতিটি স্পটে লেঃ কর্নেল নাহিদুজ্জামান নিজে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে ধারাবাহিক ভাবে,একটির পর একটি স্পটে গিয়ে স্পট আওতাধীন এলাকায় জনসচেতনতা মূলক সভা করেছেন।
বিজিবি আয়োজিত অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এইসব জনসচেতনতা মূলক সভায় সভাস্থল আওতাধীন স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের আমন্ত্রণে ওই এলাকার সর্বস্তরের জনগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সর্বশ্রেণী ও পেশার উপস্থিতিদের সম্মূখে ওই সময়ে ফেনীর জায়লস্কর ৪ ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র পরিচালক লেঃ কর্নেল নাহিদুজ্জামন তার বক্তিতাকালীন,নিজের দেশের বস্ত্র শিল্পকে ধ্বংস করার লক্ষে যে সকল কালোবাজারী এতদিন চোরাই পথে অন্য দেশের বস্ত্র নিজ দেশে প্রাচার করে এনেছে তাদেরকে এবং দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে মাদকাসক্ত করে আগামীর বাংলাদেশকে মেধা শুন্য করণের ষড়যন্ত্রে লিপ্তথাকা মাদক প্রাচারকারীদেরকে সভা পরবর্তী সময়ের মধ্যেই এইসব পেশা পরিহার করণে কঠোর হুশিয়ারী প্রদান করেছিলেন।পাশাপাশি ওই সময়ে সভায় উপস্থিত থাকা সকলের কাছে কঠোর হুশিয়ারী পরবর্তী ও যারা এই পেশা পরিহার করেনি,তাদের বিষয় তথ্য প্রদানে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছিলেন,লেঃ কর্নেল নাহিদুজ্জামান।
৪ ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র পরিচালক নাহিদুজ্জামান সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসচেতনতা মূলক ওই সব সভা করেই থেমে থাকেননি।যোগদানের পর থেকেই অদ্যাবধি তিনি প্রায় প্রতিদিনই ১০২ কিলোমিটার সীমান্তের কোন না কোন এলাকায় রাতে দিনে স্বশরীরে টহলরত থেকে ফেনীর এই সীমান্ত এলাকায় কালোবাজারি প্রতিরোধ সহ মাদক প্রাচার জিরো টলারেন্সে নিয়ে আসার লক্ষে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।সীমান্ত এলাকায় লেঃ কর্নেল নাহিদুজ্জামান প্রতিনিয়ত স্বশরীরে উপস্থিত থাকছেন বলেই বর্তমানে ফেনীর ১০২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত কালোবাজারি ও মাদক প্রাচারকারীদের কছে তিনি জম হিসেবে পরিচিত।