৩০ মার্চ ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি.কম, আনিসুর রহমান জাফরী :
পাকিস্তানে তাবলীগ জামায়াতের ২৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। তথ্যসূত্র : বি বি সি ও দৈনিক কালের কন্ঠ।
নোট : একটি গ্রুপে ২৭ জন লোক বসবাস করলে এদের মধ্যে একজনের দেহে ভাইরাস থাকলে বাকীদের দেহে ছড়াবে, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।
মন্তব্য : অাপনি কখনো অাল্লাহর ওপর ভরসা করে চলন্ত রেলগাড়ীর চাকার নিচে মাথা গলিয়ে দেন না। যদি করেন তবে তা নিশ্চিত অাত্মহত্যা। মহামারি সংক্রমণ এড়াতে বিচ্ছিন্নকরণের কর্মকৌশল
সংক্রান্ত হাদিস –
.استخلف على الناس عمرو بن العاص، فقام فينا خطيباً، فقال: أيها الناس، إن هذا الوجع إذا وقع فإنما يشتعل اشتعال النار، فتجبلوا منه في الجبال. ثم خرج وخرج الناس، وتفرقوا عنه، ورفعه الله عز وجل عنهم، فبلغ ذلك عمر بن الخطاب من رأي عمرو، فوالله ما كرهه. (مختصر تاريخ دمشق)
حين أصاب المسلمين طاعون عمواس، خرج بهم عمرو بن العاص رضي الله عنه إلى الجبال، وقسمهم إلى مجموعات، ومنع اختلاطها ببعض وظلت المجموعات في الجبال فترة من الزمن، حتى استشهد المصابون جميعاً، وعاد بالباقي إلى المدن. (الكامل في التاريخ)
“সাইয়্যেদুনা উমর রাদি. এর যুগে ফিলিস্তিনে আমাওয়াস মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন আমর ইবনুল আস রাদি. অনুগতদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, হে লোকসকল, যখন এ ধরনের মহামারী দেখা দেয়, তখন তা আগুনের মতো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর তিনি সবাইকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে ভাগ করে নির্দেশ করেন, পরস্পরে বিচ্ছন্ন হয়ে পাহাড়ে চলে যাও। তিনি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন যে, কেউ কারো সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে তারা দীর্ঘ দিন পাহাড়ে অবস্থান করে। তখন আক্রান্তরা শাহাদাত লাভ করেন। অবশেষে আল্লাহ তাআলা মহামারী তুলে নেন। আমর ইবনুল আস রাদি. বাকিদের নিয়ে সুস্থ শরীরে নগরীতে প্রত্যাবর্তন করেন।
উমর রাদি. এর কাছে হযরত আমর রাদি. এর এই কর্মকৌশলের সংবাদ পৌঁছে। তিনি বিষয়টি অপসন্দ করেননি।”
তথ্যসূত্র :
১. ইবনুল আসির, আল কামিল ফিত তারিখ
২. মুখতাসারু তারিখি দিমাশক
.
এ হাদিসটি পড়ুন। বারবার পড়ুন।
তারপর বলুন, বর্তমান সময়ের চিকিৎকরা যে আমাদেরকে করোনা মহামারীর বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনের কথা বলছেন,
এটা কি ইসলামবিরোধী নির্দেশনা?
এটা কি তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী?
এটা কি তাকদির থেকে পলায়ন?
এটা কি ইহুদি-নাসারাদের কনসেপ্ট?
এটা মানলে কি ইসলাম চলে যাবে?
.
হায়, আমাদের অর্জন আমরা অমুসলিমদের হাতে তুলে দিয়েছি। আমরা কত হতভাগা উত্তরসূরি!
…
হযরত আমর ইবনুল আস রাদি. স্থানীয় জনগণকে মহামারীর হাত থেকে বাঁচাতে যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, তা খলিফাতুল মুসলিমিন সাইয়্যেদুনা উমর রাদি. এর কাছে পৌঁছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি করেননি।
.
মহান আল্লাহ আমাদেরকে সব ধরনের বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।