August 24, 2025, 4:12 pm
সর্বশেষ:
স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা মহাসড়কে অপরিকল্পিত ইউ-টার্ন: দুর্ঘটনার বড় কারণ জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার হুকুমমতো কাজ করাতে চাইলে চেয়ারে থাকব না : সিইসি কুমিল্লার আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গ্যাজেট নিয়ে গণশুনানি: উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দান মাওয়া পদ্মার পারে যুবদল–ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের ইলিশ ভোজ স্থানীয় স্বঘোষিত ন্যায়পাল ও সমাজে বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতার অভাব মেঘনা উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সাত-আটজন পালালেও ধরা পড়লো এক চাঁদাবাজ তৃণমূলের নেতৃত্বে স্থবিরতা: গণতন্ত্র ও নতুন নেতৃত্ব তৈরির সংকট

মেঘনায় ” শেখের গাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকের” বেহাল দশা

২৯ জুন ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
রাব্বি হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার লুটেরচর ইউনিয়নের শেখের গাঁও গ্রামের দুটি ওয়ার্ড ও পার্শ্ববর্তী চরকাঠালিয়া গ্রামের একটি ওয়ার্ড সহ মোট তিনটি ওয়ার্ড প্রায় ১০ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক শেখের গাঁও গ্রামে অবস্থিত ” শেখের গাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক “। প্রতিদিন প্রায় শতশত মানুষ সাধারণ রোগ নিয়ে ক্লিনিকে ঔষধ নিতে আসে কিন্তু পর্যাপ্ত ঔষধ সামগ্রী না থাকার পাশে যুক্ত হয়েছে ক্লিনিকের চারপাশের পরিবেশের শোচনীয় অবস্থা। এমনি অভিযোগ করেছে স্থানীয় সাধারণ জনগন।

শেখের গাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ পা পর্যন্ত খোলা থাকে। কিন্তু মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় ঔষধ পাওয়া যায় না। এবং ক্লিনিকের দেয়াল, রং নষ্ট হয়ে ভেঙে পড়ছে প্রতিনিয়ত। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্টা হওয়ার পর এ পর্যন্ত আর কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম( ছদ্মনাম) বলেন- আমি প্রায় সময় ঠান্ডা, কাঁশি, হালকা জ্বর নিয়ে ক্লিনিকে ঔষধ নিতে আসি কিন্তু মাঝে মাঝেই ঔষধ না থাকার কারনে ফিরে যেতে হয়। এবং ক্লিনিকের চারপাশের পরিবেশ ও নোংরা, ময়লা আর্বজনায় ভরপুর ক্লিনিকের বাহিরে। আমরা যদি চিকিৎসা নিতে এসে নোংরা পরিবেশে দেখে তখন নিজেদের আরও অসুস্থ মনে হয়।

ক্লিনিকের পর্যাপ্ত ঔষধ না থাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে শেখের গাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত সিএইচসিপি ” ফারহানা আক্তার বলেন- আমরা এখন সপ্তাহে ৬দিন ক্লিনিক খুলে থাকি, প্রথম সপ্তাহেই দলে দলে মানুষ আসে এবং নানা ঔষধ সামগ্রী নিয়ে যায়, ঔষধ খাওয়া শেষ না হতেই আবার ঔষধ নিতে আসে। আর যখন বলা হয় আগের ঔষধ শেষ করে তার পর নতুন করে নিবেন, ঠিক তখনই রোগীরা বলে ক্লিনিকে ঔষধ নেই। আমাদের কাছে প্রতি মাসের জন্য ১টি করে ঔষধের বাক্স আসে, তা দিয়ে পুরো মাস কাভার করা সম্ভব নয়।

চারপাশের পরিবেশের শোচনীয় অবস্থার জন্য তিনি বলেন- কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিটির কাছে আবেদন করা হয়েছে যেন দেয়াল রং নতুন করে তৈরি করে, দেয়ালের সিমেন্ট খসে পড়ে, বৃষ্টি হলে দেয়াল বেয়ে পানি ভিতরে আসে, মাঝে মাঝে ঔষধ সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। ভিতরের টিউবওয়েল নষ্ট, বাথরুম নষ্ট। এটা সংস্থার করা জরুরি।

শেখের গাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালনা কমিটির সভাপতি – আঃ হালিম রিপন(মেম্বার) বলেন- আমরা কমিটির মাধ্যমে আমরা স্থানীয় সরকারের কাছে বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত বরাদ্দ আসেনি, বরাদ্দ আনার জন্য আমরা চেষ্টা করছি আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা