August 24, 2025, 4:16 pm
সর্বশেষ:
স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা মহাসড়কে অপরিকল্পিত ইউ-টার্ন: দুর্ঘটনার বড় কারণ জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার হুকুমমতো কাজ করাতে চাইলে চেয়ারে থাকব না : সিইসি কুমিল্লার আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গ্যাজেট নিয়ে গণশুনানি: উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দান মাওয়া পদ্মার পারে যুবদল–ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের ইলিশ ভোজ স্থানীয় স্বঘোষিত ন্যায়পাল ও সমাজে বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতার অভাব মেঘনা উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সাত-আটজন পালালেও ধরা পড়লো এক চাঁদাবাজ তৃণমূলের নেতৃত্বে স্থবিরতা: গণতন্ত্র ও নতুন নেতৃত্ব তৈরির সংকট

রঙে রঙিন ঝুঁকিপূর্ণ ইউপি ভবন!

১০ জুলাই ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার, মেঘনা থেকে ফিরে : রঙে রঙিন ঝকঝকা, ভবনের চিত্র দেখলে মনেই হবেনা এটা ঝুঁকিপূর্ণ। বছর দুয়েক আগেও ছিলো জনাকীর্ণ, ভবনের ওয়ালে ফাটা, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে নাজেহাল ছিলো ছাদ, ভিতরে রড গুলো মরিচা পরে অকেজো, পিলারগুলো ছিলো জনাকীর্ণ, এর মধ্যেই কার্যক্রম পরিচালনা করতেন চেয়ারম্যান। পাশের রুমে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, বাজারের মাঝামাঝি ভবনটি ফলে সব সময় লোকে লোকারন্য থাকে এই পরিষদ। এতক্ষণ যে ভবনটির কথা বলছিলাম সেটি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। পরিষদের দাপ্তরিক কাজ, বিভিন্ন শালিস সহ কার্যক্রম এর ফলে অবলিলায় মানুষের আনাগোনা চলছে যা এখনো চলমান। বছর তিন আগে কুমিল্লার সাবেক জেলা প্রশাসক ভবনটি পরিদর্শন করে মৌখিক পরিত্যক্ত ঘোষণা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে যান, ইউপি চেয়ারম্যান ভবনটি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে নিয়ে একত্রে একাধিকবার সভা করেন। ভবনটি স্থানান্তর না করে যথাস্থানে নতুন ভবন বরাদ্দ করতে হলে জায়গা প্রয়োজন, ভবনের নিজস্ব বেদখল জায়গা থাকলেও বাজারের জায়গার অনেক মুল্য থাকায় কাগজ পত্র নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হওয়ার ফলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে আলোচনা স্বাপেক্ষে মাত্র কয়েক শতক ভুমি হলেই নতুন ভবন বরাদ্দের আবেদন করা যায় কিন্তু তা আর হয়নি। পূর্ণ মেরামত করে আস্তর আর রঙ লাগিয়ে দৃষ্টিনন্দিত হলেও ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণই রয়ে যায়। এর মধ্যেই দেদারসে চলছে কার্যক্রম, যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। এই বিষয়ে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈনুদ্দিন মুন্সী তপন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ইচ্ছে করলে ব্যক্তিগত ভাবে ভালো জায়গায় বসেই অফিস করতে পারি কিন্তু পরিষদ টি বাজার কেন্দ্রীক হওয়ায় মানুষের যাতায়াত সহ বিভিন্ন কিছু ভেবে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছি। অনেক বার চেষ্টা করেছি অনেকে জায়গা দেওয়ার সম্মতিও দিয়েছেন কিছু সংখ্যক যেমন পাশে সমিতির ৫ শতাংশ জায়গা হলেই নতুন বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে পারি এবং আমার জানামতে এই ভবন তৈরির বাজেট ও রয়েছে, জনগণের সামগ্রিক বিবেচনা করে পরিত্যক্ত করার কথা বললেও মেরামত করে ঝুঁকি নিয়ে এখানেই দাপ্তরিক সহ প্রয়োজনীয় কাজ করছি। এ দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবীর কুমার রায় এ বিষয়ে বলেন ভবনটি ঝুঁকি পূর্ণ না ঝুঁকি মুক্ত তা ইঞ্জিনিয়ার বলতে পারবে তবে এর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে বলতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা