December 2, 2024, 8:24 am
সর্বশেষ:
মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজির সময় গ্রেপ্তার ৩ রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হই, সূচনা করি নতুন অধ্যায়ের: তারেক রহমান মেঘনা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলে জনগণ আশ্বস্ত হবে: খন্দকার মোশাররফ কমিটি গঠন নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সংঘর্ষ ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজকে স্নাতক পাস কোর্সে সাময়িক অধিভুক্তের ঘোষণা  মাছের প্রজননে বাধা দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে: মৎস্য উপদেষ্টা বাধার মুখে বন্ধ হলো নারায়ণগঞ্জের ‘সাধুসঙ্গ ও লালন মেলা’ ডেঙ্গুতে আরো ১০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৬ ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

ইউএনওকে ‘স্যার’ না বলে ‘আপা’ বলায় ব্যবসায়ীকে ‘লাঠিপেটা’

০৯ জুলাই ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লার হেফাজতে থাকা ত্রাণ সামগ্রী নষ্ট হওয়ার ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালীন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জরিমানার পর লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে। ইউএনও রুনা লায়লাকে ‘স্যার’ না বলে ‘আপা’ সম্বোধন করায় তপন চন্দ্র দাশ (৪৫) নামে ওই ব্যবসায়ীকে লাঠিপেটা করেছেন তার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার তপন চন্দ্র দাস উপজেলার জয়মন্টপ গ্রামের গুরু চন্দ্র দাসের ছেলে।

জানা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনায় বের হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জায়গীর বাজারে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তিনি। এ সময় ওই বাজারের প্রিতম জুয়েলার্স খোলা থাকায় দোকানটিতে ঢুকে মালিক তপন চন্দ্র দাস ও একাধিক ক্রেতাকে জরিমানা করেন। এক পর্যায়ে দোকান মালিক তপনকে শাসানো হলে ইউএনওকে আপা বলে ক্ষমা চান তিনি। এ সময় ইউএনও’র সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য ওই ব্যবসায়ীকে লাঠিপেটা করেন।

ভুক্তভোগী তপন চন্দ্র দাস অভিযোগ করে বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই আমার দোকান বন্ধ ছিল। ক্রেতাদের চাপে আগের অর্ডারকৃত স্বর্ণালংকার ডেলিভারি দিতে গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হন। আদালত আমাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করলে আমি পরিশোধ করি। লকডাউনে দোকান খোলা রাখায় ইউএনও আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। আমি তাকে আপা বলে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এ সময় তিনি স্যার না বলে ক্ষমা চেয়ে আপা বললে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে কেন আপা বললি বলেই পুলিশ লাঠি দিয়ে তার শরীরে আঘাত করতে থাকে।

তবে, সব অভিযোগ অস্বীকার করে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, অনেকেই আমাকে আপা এবং খালাম্মাতো বলেই। এর জন্য মারধর করা হয়নি। লকডাউন না মেনে দোকান খোলার অপরাধে তাকে মারধর করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রফিক বলেন, ইউএনও লাঠি দিয়ে বাড়ি দিতে বলছে বলেই আমি তার নির্দেশ পালন করেছি, এতে আমার কোনো দোষ নেই।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন,‘আপা বলায় মারধর করা এ ধরনের ঘটনা সিনিয়র অফিসারদের কাছ থেকে হওয়া উচিত না।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা