November 21, 2024, 6:26 am

চেয়ারম্যান বাড়ির ঘাটে দৃষ্টিনন্দন ঘাটলা

মেঘনা প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ সরকারের বাড়ির ঘাটে দৃষ্টিনন্দন ঘাটলা যা দেখে চোখ জুড়ায়। কুমিল্লার নিম্নাঞ্চল খ্যাত মেঘনা ও কাঠালিয়া নদী বেষ্টিত একসময়ের দূর্গম চর এলাকার বাসিন্দাদের জীবন যাত্রার মান শহরের মানুষের চেয়ে ছিল একটু ব্যতিক্রম। শখ, আধিপত্য, সুখ, সব মিলিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সবকিছুতেই ছিল বিচিত্রতা। কৃষি ও নদীতে মাছ আহরণ করে জীবীকা নির্বাহ ছিল এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান পেশা,অন্যান্য পেশাও ছিল তা সংখ্যায় খুব কম। নদীর পারের মানুষের গোসল করা ছিল এক প্রকার ভিন্ন পরিবেশ। খোলা আকাশের নিচে নদীর ঘাটে সকল বয়সী নর নারীরা গোসল করতেন। বদলেছে দেশ, বদলে গেছে এই চরাঞ্চল, একসময় যা ছিল নিত্যদিনের প্রয়োজনীয়তা এখন তা বিলুপ্ত প্রায় দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই উপজেলা। আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা, বিদেশি রেমিট্যান্স, অবকাঠামো উন্নয়ন লেখা পড়া সহ সবকিছুতেই আমুল পরিবর্তন। কয়েক বছর পরই হবে একটি শিল্প এলাকা। যা নিয়ে লিখছিলাম সেই দৃষ্টিনন্দন ঘাটলাটি একদিকে এলাকার বাসিন্দাদের গোসল সহ যাতায়াতে এনেছে আধুনিকতা অন্যদিকে চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে মেঘনা নদীতে ঘাটলা বাড়ির ঐতিহ্য বাড়িয়েছে বহুগুণ। ৫ বছর পূর্বে এই ঘাটলাটি করতে প্রায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে বাড়ি থেকে ঘাটলায় আসতে যে সিড়িটি করা হয়েছে সেটি জেলা পরিষদ থেকে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আব্দুল লতিফ চেয়ারম্যান বলেন এই ঘাটলাটি গ্রামের বাসিন্দাদের অনেক কাজে লাগছে, দূর থেকে অনেকে আসে দেখতে, নদীর বাতাস নির্মল পরিবেশ অবসর সময় বসে থাকতে ভালো লাগে। পাকা ঘাটলাটিকে আরসিসি করে নদী থেকে উপরে মাঝখানে খালি রাখা হয়েছে এবং নিচের দিকে সিড়ি করে দেওয়া হয়েছে। যাতে গোসল কিংবা পারাপারে সহজে নদীতে নামতে পারে। আর দুই পাশে দুটি রুম করা হয়েছে। ছাদের উপরে আড্ডার জন্য সিমেন্ট দিয়ে গোল টেবিল ছাতা সম্বলিত) তৈরি করা হয়েছে। নদীর পারে গ্রামীণ পরিবেশে কোমল হাওয়ায় কার না মন জুড়াবে। এত টাকা ব্যয় করে দৃষ্টি নন্দিত পাকা ঘাটলা খুব কমই দেখা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা