মেঘনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিওবি ব্যাগ ফালানো শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৭ জুলাই) এ কাজ শুরু হয়। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভুমি উম্মে মুসলিমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায় ২২ টি ভুক্তভোগী পরিবারকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের আওতায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারকে ৭ হাজার ৫ শত টাকা প্রদান করা হবে। উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে ভাঙ্গনের কবলে নলচর এলাকায় ২২ টি পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি),উপজেলা চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম,ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভুমি উম্মে মুসলিমা, প্রকল্প কর্মকর্তা সেলিম খান, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, পরিদর্শনে যান এবং গত বুধবার স্থানীয় এমপি অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ নিয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনসহ জিওবি ব্যাগে কাজ করার প্রতিস্রুতি দেন।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায় জরুরি প্রকল্পে ৪ শত মিটার এলাকা জুড়ে ১২ হাজার ৫ শত জিওবি ব্যাগ ফালানো হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৪৫ লাখ টাকা। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা, উম্মে মুসলিমা বলেন আজ ২ হাজার ব্যাগ এসেছে আমি থাকাকালীন বালু ভরাট করে প্রায় দুই শত ব্যাগ ফালানো হয়। অপরদিকে কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন এটি একটি জরুরি প্রকল্প ফলে ঠিকাদার নিয়োগ হয়নি আপাতত দুই তিন জন ঠিকাদারকে বলা হয়েছে দ্রুত কাজ করার জন্য পরবর্তীতে যে ঠিকাদার কাজ করছে তাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই কাজ দেওয়া হবে।