May 22, 2025, 7:22 am
সর্বশেষ:
৭ মাস বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ অভিযোগে সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’র কমিটি পুনর্গঠন: সভাপতি রিয়াজ, সম্পাদক নিজাম এখন আমরা বাঘের মুখে পড়েছি: মির্জা আব্বাস ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ :কমিশনের সুপারিশে গণমাধ্যমে বেশ কিছু সংস্কার উদ্যোগ: তথ্য উপদেষ্টা মেঘনায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা গজারিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকত গ্রেফতার কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইশরাককে মেয়র পদে বসাতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম একটি বিশেষ পথচলার নাম অটিজম নির্বাচন পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : প্রেস সচিব

মেঘনায় জনাকীর্ণ সেতু নির্মাণের আশায় দেড় যুগ!

বিপ্লব সিকদার।। 

 

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার খিরাচক বাজার জনাকীর্ণ সেতুটি নির্মাণে গত ১৫ বছর যাবত এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানরা জনগণকে শুধু আশা দিয়েই রেখেছেন। নির্মাণ করেনি ২০ হাজার জনগোষ্ঠীর যাতায়াতের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সেতু খিরাচক বাজার সেতুটি । দীর্ঘদিন জনাকীর্ণ সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করছে উপজেলার গোবিন্দ পুর – ভাওরখোলা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। বিনোদন পুর, আলীপুর, করিমাবাদ, দড়িকান্দি, সেননগর, দক্ষিণ কান্দি, জয়নগর, খিরাচক, মির্জানগর, মহেশখোলা, চর পাথালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। সেননগর বাজার, খিরাচক বাজার, দৌলত হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সোনার চর ইউনিয়ন ভুমি অফিস, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা পেতে উপজেলার ২০ হাজার জনগোষ্ঠীকে এ সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। দিন -রাত ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ যাতায়াত করছেন এই সেতু দিয়ে। মাঝে মাঝেই দূর্ঘটনার স্বীকার হয় যাতায়াতকারীরা। প্রায় ১৫ বছর যাবত সেতুটি সরু, রেলিং নেই, খুটি গুলোর নিচে মাটি সরে গেছে, পলেস্তারা খসে পড়ে আছে, রড গুলো মরিচা ধরে এতটাই জনাকীর্ণ যে সেতুটি দেখলেই দায়িত্বশীলদের নিয়ে উপহাস করে যাতায়াতকারীরা । দূরদূরান্ত থেকে উঠতি বয়সী ছেলেরা মজা করতে দেখতে যায় ছেলেরা! খিরাচক এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন বিগত ১৫ বছর গুলোতে যে কোন নির্বাচন আসলে শুধু এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সবাই আশা দিয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি করে দিবে কেউ দেয়নি আমরা সেতুটির নির্মাণ চাই। সেতু দিয়ে চলাচলরত দৌলত হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মরিয়ম বলেন প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আশাকরি এই সেতু দিয়ে। সেতুতে উঠলেই মাথা ঘুরায়, এভাবেই যাচ্ছি। খিরাচক বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন এই বাজার টি একটি ঐতিহ্য বাহী বাজার এই সেতুর কারণে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে খুব কম আসায় বাজার আর জমেনা। সপ্তাহে দুই দিন হাটেও এখন মানুষ আসেনা। সেননগর গ্রামের বাসিন্দা সোহেল বলেন এই সেতুর কারণে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে ৭ কিমি ঘুরে আমাদের ঢাকা – চট্রগ্রাম মহাসড়কে পৌঁছাতে হয় ফলে প্রতিদিন এই অঞ্চলের মানুষ একদিকে ভোগান্তি অন্যদিকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করছে। এ বিষয়ে গোবিন্দ পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈনুদ্দিন মুন্সি তপন বলেন গত ১৫ বছর কেউ তদবির না করায় সেতুটি হয়নি। বর্তমানে সেতুটি ডিজাইন সেকশনে আছে দ্রুত তদবির করলে কাজ দ্রুত হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো.মিয়াজ উদ্দিন বিন্দু বাংলা টিভিকে বলেন সেতুটি সয়েল টেস্ট, ডিজাইন করে আমাদের দপ্তর থেকে পাঠানো হয়েছে বাকিটা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা