নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অপরিকল্পিত ইউ-টার্ন। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে সতর্ক করলেও বাস্তবে এখনো মহাসড়কের নানা স্থানে অব্যবস্থাপনার সঙ্গে ইউ-টার্নের ঝুঁকি রয়ে গেছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মহাসড়কে অনেক ইউ-টার্ন এমন জায়গায় তৈরি করা হয়েছে যেখানে সামনে আসা দ্রুতগতির যানবাহনকে চালকেরা স্পষ্টভাবে দেখতে পান না। ফলে হঠাৎ ঘুরতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটে ভয়াবহ সংঘর্ষ। একইসঙ্গে, ঘনঘন ইউ-টার্ন থাকার কারণে চালকরা অনেক সময় হঠাৎ করে ব্রেক কষে গাড়ি ঘোরাতে যান, এতে পেছনের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
আরেকটি বড় সমস্যা হলো এসব ইউ-টার্নের নকশায় আলাদা লেন বা অপেক্ষার জায়গা রাখা হয়নি। ফলে মূল সড়কেই গাড়ি থেমে ইউ-টার্ন নিতে বাধ্য হয়। এর সঙ্গে গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সঠিক সাইনবোর্ড, আলোকসজ্জা ও ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতির অভাব দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে।ভারী যানবাহন যেমন ট্রাক ও বাসের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও প্রকট। এসব যানবাহন ইউ-টার্ন নিতে বেশি সময় নেয়, এ সময় পেছন থেকে আসা গাড়ি গতি কমাতে না পেরে সজোরে ধাক্কা মারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাসড়কে অপরিকল্পিত ইউ-টার্ন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে (৫-১০ কিলোমিটার পরপর) আধুনিক নকশায় ইউ-টার্ন, ফ্লাইওভার বা আন্ডারপাস নির্মাণের বিকল্প নেই। পাশাপাশি, প্রতিটি ইউ-টার্ন এলাকায় স্পষ্ট সাইনবোর্ড, স্পিড রিডাকশন ব্যবস্থা, সার্ভিস লেন ও পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা নিশ্চিত করতে হবে।তাদের মতে, এসব ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে মহাসড়কে প্রাণহানি অনেকাংশে কমে আসবে এবং সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।