বিশেষ প্রতিনিধি।।
হামলা করতে আসা সবাই কিশোর বয়সী গ্যাংস্টার
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কামরুজ্জামান দিপুর ওপর শনিবার বিকেলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্বনির্ধারিত প্রস্তুতি সভা চলাকালে একদল কিশোর বয়সী গ্যাংস্টার অতর্কিতে হামলা চালায়। পরিকল্পিত এ হামলায় দিপু রক্তাক্ত হন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই হামলাকারীরা বীরদর্পে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রস্তুতি সভা চলাকালে একদল কিশোর সভাস্থলে এসে হট্টগোল সৃষ্টি করে। তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইস্যু তৈরি করে দিপুর ওপর আক্রমণ চালায়। হামলাটি ছিল দ্রুত ও সুচিন্তিত।
এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। দিপুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ হামলার নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। সচেতন মহল বলেন—
“দিপুর শরীরে রক্ত ঝরেনি, ঝরেছে যুবদলের রক্ত।”
তারা প্রশ্ন তোলেন, “একটি রাজনৈতিক দলের বৈধ সভায় এভাবে অতর্কিত হামলা হলো, অথচ প্রশাসন চুপ কেন?”
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, হামলার পরিকল্পনা কয়েকদিন আগে থেকেই করা হচ্ছিল। শুক্রবার গজারিয়ায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মায়ামি রেস্টুরেন্টে এই কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ কারী কয়েকজন সদস্য গোপন বৈঠক করে হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। ভয়ংকর বিষয় হলো—চক্রটির অধিকাংশ সদস্য মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী। মুক্তিনগর বাজার নয় পুরো উপজেলার গ্যাং ওরা। ওদের রয়েছে মহা সিন্ডিকেট। এলাকায় মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি ও ড্রেজার নিয়ন্ত্রণসহ নানা অপরাধে জড়িত।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী একটি মহল তাদের ছত্রছায়া দিচ্ছে। ফলে প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকেও তারা নির্ভয়ে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় ভদ্র ও ক্লিন ইমেজের রাজনীতিকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তারা বলেন—
“এ হামলা শুধু দিপুর ওপর নয়, যুবদলের আদর্শ ও সাংগঠনিক অস্তিত্বের ওপর আঘাত।”
সচেতন মহল মনে করেন, এই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি বন্ধে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও অভিভাবকদের সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
তাদের আহ্বান—“মেঘনা শান্তি চায়, সন্ত্রাস নয়।”