• শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
মেঘনায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ, সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ মেঘনায় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত সদর দক্ষিণ সার্কেল অফিসে পুলিশ সুপারের বার্ষিক পরিদর্শন মেঘনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: হাসপাতালকে জরিমানা, ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা সাপ আতঙ্কে মেঘনা সাব-রেজিস্টারের অস্থায়ী অফিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্থানান্তরের দাবি জনসাধারণের কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ, উন্নয়ন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রধান অতিথির কঠোর সমালোচনা গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এখানে যদি দুর্নীতি চায় কি না—এমন গণভোট করি শতভাগ মানুষ ভোট দেবে ‘চাই না’ : দুদক চেয়ারম্যান কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার মেঘনায় প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির পাখি।

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৫৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২০

৮ জানুয়ারি ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার : গ্রাম-গঞ্জের মাঠে-ঘাটে, বনে জঙ্গলে, গাছে গাছে নানা ধরনের পাখি দেখা গেলেও কালের বিবর্তনে এখন আর চিরচেনা সেই পাখি দেখা যায়না। পাখির কলরবে মুখর গ্রামের মেঠোপথ এখন পাখি শূন্য হতে চলছে। বনে-জঙ্গলে, গাছে পাখি দেখার সেই অপরুপ দৃশ্যপট পাল্টে যাচ্ছে।

পরিবেশ দূষণ, নির্বিচারে গাছ কাটা, জমিতে কিটনাশক ব্যবহার, পাখির বিচরণ ক্ষেত্র ও খাদ্য সংকট আর জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখি দিন দিন কমে যাচ্ছে।

কয়েক বছর আগেও মানুষের ঘুম ভাঙ্গত পাখির ডাকে। তখন বোঝা যেত ভোর হয়েছে। পাখির ডাকাডাকি বলে দিতো এখন সকাল, শুরু হতো দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততা। কিন্তু এখন যেন পাখির ডাক হারিয়ে গেছে, এখন গাছ গাছালিতে পাখির ডাক নেই। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত সেসব পাখিগুলোর ডাক ও সুর মানুষকে মুগ্ধ করতো সেই পাখি ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে।

, দোয়েল, ময়না, কোকিল, শালিক, টিয়া, ঘুঘু, বাবুই, চড়ইসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির পাখি গ্রামাঞ্চলের ঝোপে-ঝাড়ে, গাছের ডালে সুরের ধ্বনিতে মুগ্ধ করতো গ্রামগঞ্জের মানুষের হৃদয়। এই পাখির কিচির-মিচির শীষ দেওয়া শব্দ এখন আর কানে শোনাই যায় না। সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় বাঁশ গাছে, আমের ডালে, বড়ই গাছে, বাড়ির ছাদে যে পাখি সব সময় দেখা যেত সেই পাখি এখন আর চোখে পড়েছে না।

তবে কম সংখ্যক বাবুই, চড়াই, সালিক, টিয়া, ঘুঘু, কাক, মাছরাঙ্গা, ইত্যাদি পাখি শহর, গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেলেও সংখ্যা য় খুব কম। তাই পাখি প্রিয় অনেক সৌখিন মানুষ বাড়ির খাঁচায় বন্ধি করে পাখি পালন করতে দেখা যায়। এমন এক পাখি পালনকারী বলেন, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

সচেতন মহল মনে করেছেন, ফসলি জমিতে উঠছে ঘরবাড়ি, তাছাড়া জনসংখ্যা প্রভাবেও কোথাও না কোথাও প্রতিদিন নতুন নতুন ঘরবাড়ি তৈরি হচ্ছে। অবৈধ ইঁটভাটায় গাছ কেটে বন উজার করে পাখিদের আবাসস্থল ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। তাই আগের মতো বনে জঙ্গলে ঝোপের মধ্য তেমন পাখির দেখা যাচ্ছে না।

কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণসহ, পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জদেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখির দেখা মিলবে না বলে মনে করেছেন পরিবেশবাদীরা।বিশেষ করে উপজেলায় স্থানীয় ভাবে প্রশাসনের নিয়মিত দেখভাল না থাকলে, পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কে সচেতন না করলে এক সময় হারিয়ে যাবে দেশীয় প্রজাতির পাখি। পরিবেশ বাদী সংগঠনের কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ে বিস্তার করে জনগণকে সচেতন করতে হবে। অপরিকল্পিত শহর, ঝোপঝাড় ও অবাধে গাছপালা কাটা বন্ধ করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন