• শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
মেঘনায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ, সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ মেঘনায় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত সদর দক্ষিণ সার্কেল অফিসে পুলিশ সুপারের বার্ষিক পরিদর্শন মেঘনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: হাসপাতালকে জরিমানা, ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা সাপ আতঙ্কে মেঘনা সাব-রেজিস্টারের অস্থায়ী অফিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্থানান্তরের দাবি জনসাধারণের কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ, উন্নয়ন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রধান অতিথির কঠোর সমালোচনা গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এখানে যদি দুর্নীতি চায় কি না—এমন গণভোট করি শতভাগ মানুষ ভোট দেবে ‘চাই না’ : দুদক চেয়ারম্যান কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার মেঘনায় প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

“আমার বাবা “

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৪১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ জুন, ২০২০

২১ জুন ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, পারভেজ দেওয়ান :

কিছু ভালোবাসা ভাষায় কখনো প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু অনেক বেশি অনুভব করা যায়। আব্বুর সাথে আমার সম্পর্কটা অনেকটাই তেমনই।

বাবাকে নিয়ে অনুভূতিগুলো সবসময়ই মনের গহীনে চাপা পড়ে থাকে। বাবার ত্যাগ, তিতিক্ষা, স্নেহ, রাগ, ভালোবাসা সন্তান আগলে বুকের এক কোণে। কখনো মুখ ফুটে বলা হয়ে উঠে না, বাবা ভালোবাসি। বাবাদের আমরা বাবা, আব্বু, ডেডি যে নামেই ডাকি না কেন! সব বাবাই তাঁর সন্তানের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ।

শত কষ্ট উপেক্ষা করে আব্বু আমাকে আজকের এই সুন্দর পৃথিবীতে টিকে থাকতে শিখিয়েছে । কিভাবে নতুন নতুন চেলেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় তা আব্বুর হাত ধরেই শিখেছি।

শৈশবের কথা মনে হলেই আব্বুর কথা মনে পড়ে কারন শৈশব জুড়ে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমার আব্বু-ই।শৈশবে আমার আমার সকল বায়না আব্বুর হাত ধরেই পূরণ হয়েছে।নতুন শব্দ,বাক্য, প্রানীর নাম,সাধারণ জ্ঞান আব্বুর হাত ধরেই শিখা।আমার এখনো মনে পড়ে আব্বু রাতে ঘুমানোর আগে গল্প শুনাতেন। প্রতিটা গল্পে শিক্ষনীয় কিছু না কিছু থাকতোই। সেই গল্প থেকে অর্জিত জ্ঞান আজ আমার চলার পথকে সুন্দর করে তুলেছে।

নিজে পুরানো কাপড় পড়ে ইদ করলেও, আমাদের জন্য ইদে নতুন কাপড় প্রতিবছরই থাকে।এটা শুধু আব্বুকে দিয়েই সম্ভব। নিজের সুখকে বিসর্জন দিয়ে সন্তানের চলার পথকে সুন্দর ও সুখময় করা শুধুমাত্র বাবাদের দিয়েই সম্ভব।

যতই মুখে বলি,” তুমি তো আমি বাদে বাকি তিন ছেলেকে বেশি আদর করো”..কিন্তু দিন শেষে আমি আর আব্বু দুইজনেই জানি, আমি বড় ছেলে, আমার প্রতি বাবার আশাটা বেশি,আমার সাথে কমিউনিকেশনটাও বেশি,একটু মনোমালিন্যতাও হয়,আবার আমার জন্য আব্বুর খরচটাও বেশি হয়। ” এতো ঘুরতে যেতে হবে কেন?, লেখা পড়া ঠিক মতো না করলে ভালো চাকরি পাবা না।আবার বলবে, শোন প্রেম-ট্রেম করিস না, নামাজ পড়। কাজের কাজ তো করবা না সারাদিন ফোনের মধ্যে ডুইবা থাকো।”দিনশেষে সকল স্বাধীনতা কিন্তু আমার বাবা আমাকে দিয়ে রাখছে।

বাবার ত্যাগ, বিসর্জন বলে শেষ করার মতো না।পরিশেষে বলতে চাই,

ভালো থাকুক এপারের, ওপারের সকল বাবারা…


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন