১১জানুয়ারী ২০২২, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, : :মেঘনা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ক্ষতি গ্রস্থ আলু চাষিরা ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর উপজেলায় এ পর্যন্ত ২২০ হেক্টর জমিতে পূনরায় আলু চাষ করছেন চাষিরা। এর উপজেলার রামনগর ছয়ানী গ্রামের কৃষক আল আমিন ৪৮০বিঘা, মির্জানগর গ্রামের শাহাবুদ্দিন ২৪৫ বিঘা, সোনা কান্দা গ্রামের ডালিম মুক্তার ৬০ বিঘা, বড় নোয়াগাও গ্রামের নাছির উদ্দীন ২৫ বিঘা, সহ বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা আলাদা আলাদা চাষ করছেন। এ বিষয়ে আলু চাষি আল আমিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠা কখনোই সম্ভব না,তার পরেও আবার ৪৮০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। শাহাবুদ্দিন বলেন অর্থনৈতিক ভাবে আমি সর্বস্ব হারিয়েছি, আবারও কর্জ করে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রশাসন থেকে এখনো কোন আর্থিক সহায়তা পাইনি। নাছির উদ্দীন বলেন ৫০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সব শেষ এখন পরিবার নিয়ে চলতেই কষ্ট, তার পরেও আবার কর্জ করে ২৫ বিঘা চাষ করেছি, সরকারের কাছে আকুতি আমাদের দিকে তাকানোর। লুটের চর গ্রামের সমাজ সেবক আ: খালেক মাষ্টার বলেন কৃষক উৎপাদন করলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতি হবে এবার ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে যে ক্ষতি হয়েছে সরকারের প্রতি আবেদন করবো যেন চাষীদের পাশে দাঁড়ায়। ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম হোসেন বলেন আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করে দেখেছি ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে আলু চাষি সহ মৌসুমের সব চাষ কৃত জমি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে যা অপূরনীয় সরকারের কাছে অনুরোধ তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহে আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন আমরা কৃষি অফিস থেকে আমাদের কর্মি দ্বারা ক্ষতি গ্রস্থ আলু চাষিরা পুষিয়ে উঠতে পরামর্শ মূলক সহযোগিতা করছি।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।