May 17, 2024, 5:10 am
সর্বশেষ:
উপকর কমিশনারসহ তিন জনের নামে দুদকের মামলা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৭ চিকিৎসক বদলি ও দায়িত্বশীলতা অতিরিক্ত ডিআইজি শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক দুই পাসপোর্ট অফিসে দুদকের দুটি পৃথক অভিযান মেঘনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

খুলনায় ভ্যানচালক হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

২৩ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

খুলনায় ভ্যানচালক ইমরান সরদার (৪২) হত্যা মামলায় আমীর আলী মীর ওরফে কাউসার (৪২) নামে এক যুবকের ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

একই সঙ্গে ৩৭৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণাকালে আসামি কাউসার আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। কাউসার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের আফসার আলী মীরের ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের ইউসুফ সরদারের ছেলে ভ্যানচালক ইমরান সরদারের শ্যালিকা লতার সঙ্গে পাশ্ববর্তী তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের কাউসারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনাটি ইমরান জানতে পেরে কাউসারকে শ্যালিকা লতার সঙ্গে প্রেম করতে বাধা দেয়। এতে সে ইমরানের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়।

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে ইমরান ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন রাতে তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। পরের দিন সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ নন্দনপুর-জোয়ালবাঁধাল রাস্তার পার্শবর্তী একটি সুপারি বাগান থেকে ইমরানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। তবে ওই সময় তার ভ্যানটি পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিহত ইমরানের বাবা ইউসুফ সরদার বাদী হয়ে রূপসা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ কাউসারকে গ্রেপ্তার করলে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা জব্দ করা হয়।

ওই বছরের ২ জুলাই রূপসা থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) শাহিনুর রহমান কাউসরারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক ও এপিপি অ্যাডভোকেট এম ইলিয়াস খান। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসিনা আক্তার।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা