May 18, 2024, 10:09 am
সর্বশেষ:
উপকর কমিশনারসহ তিন জনের নামে দুদকের মামলা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৭ চিকিৎসক বদলি ও দায়িত্বশীলতা অতিরিক্ত ডিআইজি শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক দুই পাসপোর্ট অফিসে দুদকের দুটি পৃথক অভিযান মেঘনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

সনদ জালিয়াতি করে চাকরি, সহকর্মীকে ফাঁসাতে শ্বশুরকে হত্যা শিক্ষকের

২৮ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

বিএড পরীক্ষার জাল সনদে চাকরি করে আসছিলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দিয়াড়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। সম্প্রতি তার সনদ জাল বলে প্রমাণিত হয়। মাদরাসা সুপারই তার সনদ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন। এ নিয়ে শুরু শত্রুতার।

সুপারকে ফাঁসাতে তাই বয়োবৃদ্ধ শ্বশুরকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ধরালো ছুরি দিয়ে জবাই করে লাশ ফেলে পালিয়ে যান ছোট জামাতা (মাদরাসাশিক্ষক) আবুল কালাম আজাদ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। সাতক্ষীরায় বাবা-মায়ের হাতে ১৫ দিনের শিশু হত্যা ও কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের কৃষক মোসলেম আলী বিশ্বাস হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের ঘটনায় তিনি এ প্রেস ব্রিফিং করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ও সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ্ উদ্দিন।

পুলিশ সুপার বলেন, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের কৃষক মোসলেম আলী বিশ্বাসের ছোট জামাতা দেয়াড়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। তার বিএড সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় সম্প্রতি তদন্ত হয়। এতে তিনি মাদরাসা সুপারের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ জন্য তিনি সুপারকে হত্যার চেষ্টা করেন। সফল হতে না পেরে তিনি শ্বশুরকে হত্যা করে তার দোষ মাদরাসা সুপারের ঘাড়ে চাপানোর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক শ্বশুরকে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে নতুন বাড়িতে তিনি ও তার ভাতিজা হাবিবুর বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে শ্বশুরকে জবাই করে ফেলে রাখে।

এসপি জানান, সুপারকে ফাঁসাতে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পুলিশ আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাইপো হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, হ্যান্ড গ্লাভসসহ বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করে। কালামকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে হাবিবুরকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২৬ নভেম্বর থানায় কারো নাম উল্লেখ না করে একটি মামলা দায়ের করে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা