May 17, 2024, 7:19 pm
সর্বশেষ:
উপকর কমিশনারসহ তিন জনের নামে দুদকের মামলা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৭ চিকিৎসক বদলি ও দায়িত্বশীলতা অতিরিক্ত ডিআইজি শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক দুই পাসপোর্ট অফিসে দুদকের দুটি পৃথক অভিযান মেঘনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

মেঘনার অভ্যন্তরীণ রুট, ব্রিজ, কালভার্ট গুলো মরণফাঁদ

০৬ জুলাই ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,  এম এইচ বিপ্লব সিকদার : কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুট, ব্রিজ, কালভার্ট গুলো মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। মেঘনা -কাঠালিয়া নদী বেষ্টিত ৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলা। প্রায়৷ বর্তমানে প্রায় লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর বসবাস। জেলার সবচেয়ে ছোট এবং শেষ পশ্চিমাংশে অবস্থিত।কুমিল্লা সহ  নাঃগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা। ঢাকা থেকে অদূরে হওয়ায় উপজেলাটির গুরুত্ব অনেক। সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগের ভালো অবস্থান কিন্তু অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করতে ঝুঁকি নিয়ে করতে হয়। সামান্য  বৃষ্টি হলেই কাচা পাকা সব রাস্তাই ভেঙে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। নতুন নতুন মহল্লার ভিতরে অনেক মাটির কাচা রাস্তা তৈরি হওয়ার পর বর্ষাকালে বৃষ্টি পেলেই ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরে। ভাটের চর – ছিনাই পর্যন্ত ১৫ কিঃমিঃ প্রধান সড়ক, মানিকার চর বাজার থেকে সেননগর বাজার হয়ে আলীপুর ঘাট, চন্দনপুর থেকে মানিকার চর বাজার, মানিকার চর বাজার থেকে রামপুর বাজার, সেননগর বাজার থেকে কদমতলা পর্যন্ত। এছাড়া আরও অনেক সড়ক রয়েছে টেকসই মেরামত না হওয়ার ফলে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। শুধু রাস্তা নয় সাথে ব্রিজ কালভার্টের পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। খিরাচক বাজার ব্রিজ বছরের পর বছর রাস্তা কেটে সাকু বানিয়ে ব্রিজের সাথে লাগিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে মানুষ বছরের পর বছর। এই ব্রিজ ব্যবহার করে দুটি ইউনিয়নের জনগণ। সদর ইউনিয়ন গোবিন্দপুর ইউনিয়নের অর্ধেক গ্রাম, এই সড়ক ও ব্রিজটি ব্যবহার করে স্কুল, বাজার, হাসপাতাল, ভুমি অফিস সহ বিভিন্ন কাজের জন্য। ভাওরখোলা ইউনিয়ন সহ দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার জনগোষ্ঠীকে এই রুট ব্যবহার করতে হয়। ব্রিজ গুলো জনাকীর্ণ ও না করায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন, এমনকি পাচ কিমি রাস্তা ঘুরে কদমতলায় আঞ্চলিক সড়কে আসতে  অনেক টাকা যাতায়াত খরচ করতে হয় এলাকাবাসীর। অনকে জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখি করলেও কোন লাভ হয়নি। অদৃশ্য কারনে গুরুত্ব দিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।    ও খিরাচক গ্রামের পশ্চিম পাশের ধসে যাওয়া কালভার্ট ধসে গিয়ে যোগ করে এই রাস্তার দুর্ভোগের নতুন মাত্রা। এছাড়া দক্ষিণ কান্দি ব্রিজ, সেননগর বাজার থেকে আলিপুর যেতে ৪ টি মান্দাতা আমলের ব্রিজ ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরে প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা, এমন কি প্রানহানীও হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে  চলাচল করার জন্য । প্রতিটি ইউনিয়নের অনেক কালভার্টের এবং কাচা -পাকা সড়কের পরিস্থিতিই খারাপ, দেখার কেউ নেই। ঢাকা – চট্রগ্রাম মহাসড়ক ভাটের চর নতুন সড়ক সংলগ্ন থেকে হোমনা ছিনাই মোড় পর্যন্ত ১ ৫ কি:মিঃ রাস্তা মেঘনা সহ কয়েকটি উপজেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক রুটে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলে এই রুটে রাস্তাটি অধিকাংশ জায়গায় খানাখন্দভরা। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। এই রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের প্রয়োজন। অতি গুরুত্বপূর্ণ রুট ব্যবহার অনুপযোগী হলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে পুরো উপজেলা। এই রাস্তা  বিষয়ে কুমিল্লা জেলা এল জি ই ডি ‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা মোঃ ইফতেখার আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বাজেটেই এটাকে মেরামত করার চেষ্টা করছি। উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন ইতিমধ্যে বি আর টিসি মোড় থেকে ওমরা কান্দা ব্রিজ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে মেরামতের জন্য টেন্ডার কল হবে। আর অর্থনৈতিক অঞ্চলের ১.৫ কিঃ মি: সওজ নিয়েগেছে, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি পুরো ১৫ কি:মি সও জ এ নেওয়া যায় কিনা। এদিকে মেঘনা উপজেলা প্রকৌশলী বলেন নতুন অর্থ বছর আশার সাথে সাথেই লকডাউন শুরু হলো আশাবাদী লকডাউন শেষ হলে এই রাস্তার প্রস্তাবনা পাঠাবো।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা