April 27, 2024, 5:26 am

ঋণ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও

বিপ্লব সিকদার।।

 

ঋণ দেওয়ার কথা বলে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার দুই শতাধিক গ্রাহকের প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ‘এক্সেস কমিউনিটি ক্যাপিটাল ফান্ড ‘ নামে একটি কথিত এনজিও’ র জেনারেল ম্যানেজার পরিচয় দানকারী দেলোয়ার হোসেন তার সংঘবদ্ধ চক্র। গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ)ঋণ পেতে ভুক্তভোগীদের দেওয়া ঠিকানা উপজেলার মানিকার ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগীরা জড়ো হয়।

এ সময় তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার ২ শতাধিক গ্রাহকের প্রায় ১ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সংস্থাটি। কোনো রশিদ ছাড়া শুধুমাত্র ভিজিটিং কার্ড দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে সংস্থার লোকেরা।

গত ১৮ মার্চ সংস্থার অফিস করার জন্য একটি ভাড়া বাসা নেন দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন ব্যক্তি। গ্রাহকদের গতকাল (সোমবার ) ঋণের টাকা দেওয়ার কথা বলে এর আগেই লাপাত্তা তারা। ভিজিটিং কার্ডে দেওয়া নম্বর বন্ধ রয়েছে বলে জানান তারা।
প্রতারক চক্রটি গত ৫ মার্চ ক্ষুদ্র ঋণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, ও কর্মমুখী শিক্ষা প্রসারে বিস্তার লাভ করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে ডাকযোগে রেজিস্ট্রার করে আবেদন পাঠান। আবেদনটিতে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস, এম তাহের মজুমদার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের স্বাক্ষর দেখা যায়। আবেদনটি সংস্থার নিজস্ব প্যাডে করেন সেখানে এক্সেস কমিউনিটি ক্যাপিটাল ফান্ড।রেজি:S4222/C93,প্রধান কার্যালয় মির্জাপুর টাঙ্গাইল লেখা ছিল। আমিরাবাদ গ্রামের ভুক্তভোগী মো.মাসুদ বলেন ১ লাখ টাকা ঋণ নিতে সঞ্চয় দিতে হবে ৭ হাজার টাকা ৫ লাখের মত প্রথম লোন দেওয়া যাবে আমি ২৭ হাজার ৫ শত টাকা দিয়েছি। ভাওরখোলা গ্রামের ভুক্তভোগী স্বামী আলাউদ্দিন বলেন আমার স্ত্রীকে বড় অংকের টাকা লোন দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম সঞ্চয় বাবত ১৬ হাজার ৫০ টাকা, একই গ্রামের ভুক্তভোগী সানি বলেন আমার মায়ের কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা নিয়ে গেছে গতকাল সোমবার লোন দেওয়ার কথা এর আগেই লাপাত্তা। মির্জানগর গ্রামের হাফেজ বলেন আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে এনজিওর লোকজন। গোবিন্দ পুর ইউনিয়নের চর বিনোদপুরের হারুন বলেন আমাদের গ্রাম থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায়। এভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে উপজেলার প্রায় গ্রাম থেকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন আমাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের নিকট জানতে চাইলে তিনি  বলেন আমাদের কাছে কোন এনজিও সরাসরি আসেনি, কথাও বলেনি, আমি এখন রেজিস্ট্রার দেখবো কোন চিঠি এসেছে কিনা। তবে ভুক্তভোগী কয়েকজন এসেছিলেন বলেছি অভিযোগ দিতে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা