December 22, 2024, 5:36 pm
সর্বশেষ:
কুমিল্লা মেঘনার বৈদ্ধনাথপুরে ঢাকা বনাম চট্রগ্রাম বিভাগ কুস্তি খেলা ৯ জানুয়ারি মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে বিএনপির দুই গ্রুপের আলাদা শ্রদ্ধাঞ্জলি  মেঘনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন মেঘনায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে আওয়ামীলীগের দুসর : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া মেঘনার মাটি- মোশাররফ স্যারের ঘাটি শ্লোগানে মুখরিত মানিকার চর বাজার দৌলত হোসেন সরকারি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত গাছে ফেস্টুন লাগানোর দায়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা: ২৪ ঘন্টায় সকল ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ বিগত ১৫ বছরে ভারতের সাথে যত চুক্তি হয়েছে তা বাতিল করতে হবে : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া মেঘনায় জনাকীর্ণ সেতু নির্মাণের আশায় দেড় যুগ!

প্রেম করার জন্য সাংবাদিকরাই সেরা!

১১ অক্টোবর ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্ট :

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা । এ পেশার প্রতি দুর্বলতা রয়েছে অধিকাংশ সচেতন মানুষের । সাংবাদিকতা পেশায় যেমন রয়েছে ঝুঁকি, তেমন রয়েছে সম্মান ও রোমাঞ্চ। অপ-সাংবাদিকতা বাদ দিলে যে টুকু থাকে তার সব টুকুই আত্মতৃপ্তি পাওয়ার জন্য একটি স্বাধীন পেশা সাংবাদিকতা । আর এ সাংবাদিকদের সঙ্গে নাকি প্রেম করা বেশ কঠিন। এই পেশার লোকদের পকেট নাকি সব সময়ই খালি। আর তারা নাকি সব সময়ই বড্ড বেশি কাজ নিয়েই মেতে থাকে। কথাগুলো নেহাত মিথ্যা নয়। কিন্তু তাই বলে তাদের সঙ্গে প্রেম করা কঠিন- এমন কথা পুরোটাই আজগুবি।

আসলে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেম করা বেশ লাভজনক। সাংবাদিকরা প্রেমিক বা প্রেমিকা হিসেবে অন্য যেকোনো পেশার পার্টনারের থেকে কয়েকশ মাইল এগিয়ে। জেনে নিন এর কারণ:

* পেশার খাতিরে সাংবাদিকরা এমনিতেই চরকার মতো ঘুরতে থাকেন। তাই শহরের অলিগলিতে কোথায় কী আছে- সবই তাদের নখদর্পণে। আর এ কারণেই তাদের সঙ্গে প্রেম মানে জীবনে আনন্দের আর ফুর্তির প্রাচুর্য্য।

* সাংবাদিকরা সচরাচর এতোটাই কম বেতন পান যে টাকা বিষয়ে তাদের মোহ ব্যাপারটা তৈরি হয় না। ভেবে দেখুন, টাকার প্রতি বিশেষ আকর্ষণ নেই এমন প্রেমিক বা প্রেমিকা কি সহজে মেলে?

* পেশার জন্য সাংবাদিকরা সর্বদাই ব্যস্ত। তাদের সঙ্গে প্রেম করলে আপনার ব্যক্তিগত সময়ের বিশেষ অভাব হবে না। কারণ আপনার নিজস্ব সময়ে নাক গলানোর সময়টাই যে তাদের বিশেষ নেই।

* সাংবাদিকরা অনেকটা কাঁঠালি কলার মতো। চাই বা না চাই কয়েক গুচ্ছ কাজ তাদের শিখে রাখতেই হয়, যাকে বলে ‘বাই ডি ফল্ট মাল্টিটাস্কিংথ। এক সঙ্গে অনেক কাজ তাদের অভ্যাস হয়ে যায়। বাড়িতে এমন একজন মাল্টিটাস্কিং পার্টনার কে না চায় বলুন?

* সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলুন। দেখবেন, জানা থাকুক বা না থাকুক আলপিন থেকে আলাস্কা, সব কিছু নিয়েই তারা নাতি দীর্ঘ বক্তব্য দিতে পারেন। ফলে যখন কোনো কাজ থাকবে না, একঘেয়ে লাগবে। তাদের সঙ্গে আরামে বকবক করতে পারেন।

* খবর সন্ধানের তাগিদে এর, ওর, তার থেকে এতো এটা, ওটা, সেটা শুনতে হয়, সাংবাদিকরা আপসেই ভাল শ্রোতা হয়ে ওঠেন। প্রেমিক বা প্রেমিকা যদি ভাল শ্রোতা হল, তার থেকে ভাল আর কী-ই বা হতে পারে?

* পেশার খাতিরেই বিশ্বাসী হয়ে থাকেন সাংবাদিকরা। সংবাদের জন্য অনেক লোকজনের কাছে যেতে হয় তাদের। সংবাদ উৎসের পরিচয় গোপন রাখতে হয়। আর এ কারণেই বিশ্বাসী আর সহায়তাপ্রবণ হয় সাংবাদিকরা। জীবনে এমন একজন মানুষ কে না চায়?

* এমনিতেই তাদের এমন গাধার খাটুনি খাটতে হয়। সাংবাদিকরা ইচ্ছা-অনিচ্ছার উর্ধ্বে গিয়ে বাই ডি ফল্ট কঠোর পরিশ্রমী হয়ে ওঠেন। সঙ্গী বা সঙ্গিনী পরিশ্রমী হওয়া যে কারো পক্ষেই অত্যন্ত সুখকর।

* সাধারণত সাংবাদিকরা বেশ সৃজনশীল হন। নিজের পেশা ছাড়াও আরো অনেক কিছুতেই পারদর্শী হন। পার্টনার যদি সৃজনশীল হন, তা হলে গর্বে বুকের ছাতি ইঞ্চি খানেক বাড়ে বৈকি!

* সারাটা দিন এর ওর সঙ্গে খেজুরে ভদ্রতা করতে গিয়ে এমন হাসিটা দিতে হয়, সেই হাসিটাই সাংবাদিকদের কেমন অভ্যাস হয়ে যায়। হাসি খুশি প্রেমিক বা প্রেমিকা কে না চায়?

তথ্যসূত্র: অমৃতবাজার।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা