May 16, 2024, 10:12 pm
সর্বশেষ:
উপকর কমিশনারসহ তিন জনের নামে দুদকের মামলা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৭ চিকিৎসক বদলি ও দায়িত্বশীলতা অতিরিক্ত ডিআইজি শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক দুই পাসপোর্ট অফিসে দুদকের দুটি পৃথক অভিযান মেঘনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

একজন মাস্টার দিয়ে চলছে ৩টি রেল স্টেশন!

১৭ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

নওগাঁ ও বগুড়া জেলার মোহনায় অবস্থিত ব্যস্ততম ঐতিহ্যবাহি সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশন। উত্তরবঙ্গের মধ্যে ঐতিহ্যবাহি রেলওয়ে স্টেশন হলেও সান্তাহার স্টেশনে এখনো অবকাঠামো উন্নয়নসহ আধুনিকতার কোনো ছোঁয়াই স্পর্শ করেনি। এ স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ব্রড গেইজ ও মিটার গেইজ মিলে প্রায় শতাধিক ট্রেন চলাচল করে।

নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলা, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার কয়েকটি উপজেলার যাত্রীরা এই সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশন দিয়েই চলাচল করে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা নওগাঁ ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য এই স্টেশনটি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ১ জন মাস্টার দিয়ে চলছে সান্তাহার, বন্ধ স্টেশন তিলকপুর ও জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনটি। এতে করে সাধারণ মানুষরা এই স্টেশনে কোনো কাজে গিয়ে দেখা পাচ্ছে না স্টেশন মাস্টারের। যার কারণে স্টেশনগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে।

সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ তারিখে সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন হাবিবুর রহমান হাবিব। হাবিব মূলত জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টারের প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বন্ধ থাকা তিলকপুর রেলওয়ে স্টেশনেরও মাস্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু সান্তাহার জংশন রেলওয়ের মতো ব্যস্ততম একটি স্টেশন অস্থায়ী মাস্টার দিয়ে চালানোর কারণে অনেক কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, জনবল সংকটের কারণে রেল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আমাকে যে ৩টি স্টেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করে আসছি। যদিও বা আমার জন্য এই ৩টি স্টেশন চালানো অনেকটাই কষ্টকর একটি বিষয়। তবুও সরকারের আদেশকে সম্মান জানিয়ে তা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। তবে হয়তো বা এই সংকট আর বেশি দিন থাকবে না। রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুতই জনবল সংকট দূর করে প্রতিটি স্টেশনে স্থায়ীভাবে মাস্টার নিয়োগ দিবেন।

রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন জানান, মূলত জনবল সংকটের কারণেই রেল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে জনবল নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুত প্রতিটি রেল স্টেশনে স্থায়ীভাবে মাস্টারসহ অন্যান্য পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। তাহলে দেশের প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম আরো ত্বরানিত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা