November 23, 2024, 3:52 pm

মেঘনায় যেকৌশলে জামায়াত ইসলামের উত্থান চলমান

বিশেষ প্রতিনিধি, মেঘনা থেকে ফিরে –

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় রাজনীতি বলতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগই ছিল এখনো আছে। ছোট দল গুলোর মধ্যে জামায়াত ইসলাম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামি ঐক্যজোট, হেফাজতে ইসলাম। মোট কথা ইসলামি দলগুলোর রাজনীতিতে সাংগঠনিক ভাবে কচ্ছপ গতিতে কার্যক্রম চালিয়েছে। কিন্তু জামায়াত ইসলামের কর্মকাণ্ড ছিল ভিন্ন। গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতনের পর জামায়াত ইসলাম কর্মকাণ্ড দেখে স্থানীয় সচেতন মহল বিস্মিত। ছোট ছোট দলের কর্মকাণ্ড চোখে পরলেও পতীত সরকারের আমলে জামায়াত ইসলাম উপজেলায় নিরব হয়ে যায়। বলতে গেলে দলটিকে নিস্ক্রিয় ভাবতেন বড় দুই রাজনৈতিক দল সহ সচেতন মহল । বর্তমানে দলের কর্মকাণ্ডে সকলেই বিস্মিত! যেখানে সবাই নিস্ক্রিয় প্রায় কার্যক্রম সেখানে এত দ্রুত উপজেলা কাউন্সিল প্রতিটি ইউনিয়নে কমিটি দেওয়া কিভাবে সম্ভব? এ প্রশ্ন অনেকের। আগে কমিটি থাকলেও নিস্ক্রিয় ছিল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে এটা আসলে তেমন কোন দৈবঘটনা না। প্রায় অদৃশ্য কৌশলে পতীত সরকারের আমল সহ বর্তমানে অতি সতর্কতার সাথে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে দলটির স্থানীয় নেতারা। খুঁজ নিয়ে জানা যায় যিনি বর্তমান কাউন্সিলে উপজেলার আমীর নির্বাচিত হয়েছেন তিনি হলেন মো.লোকমান হোসেন ভুইয়া। কে এই লোকমান হোসেন? উপজেলার সেননগর বাজার সংলগ্ন একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। দলীয় কর্মকাণ্ড প্রসারিতে করার জন্যই মুলত তিনি এই উপজেলায় এসেছিলেন। কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা নামে মাত্র। স্থানীয়দের কাছে পতীত সরকারের আমলে একজন শিক্ষক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তিনি পতীত সরকারের চাপের মুখে নিজেক আড়াল করে অত্যন্ত সুকৌশলে স্থানীয় জামাত ইসলামের নেতাকর্মীদের নিয়ে আগে থেকেই দল পরিচালনা করে এসেছেন। এটাই ছিল কৌশল। আরও কিছু কৌশল বিদ্দমান আছে দলটির। যেমন আওয়ামী লীগ, সামাজিক সংগঠনকে বিভিন্ন সময় স্পনসর করে তাদের উপর ভর করে মানুষের দোড় গোড়ায় যথা সম্ভব চেষ্টা করেছেন। অন্যদিকে বিএনপির ভিতরে সুপরিকল্পিত ভাবে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতৃত্বে জামায়াত ইসলাম ও শিবির মতাদর্শের নেতাদের অনুপ্রবেশ করিয়েছিলেন। অনুপ্রবেশ হওয়া জামাত পরিবারের নেতারা যথেষ্ট মেধাবী এবং দলের যে কোন প্রোগ্রামে অর্থযোগান দিতেন। ফলে দলের শীর্ষ নেতাদেরও তাদের প্রতি আছে আলাদা কদর। তাদের কাছে বিএনপির ত্যাগী কর্মীরাও কোনঠাসা।স্থানীয় বিএনপির পরোক্ষ নীতি নির্ধারক অন্যদিকে জামায়াত ইসলামকে উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পরোক্ষ কাজ করছে,এগুলো করার পিছনে একমাত্র হাতিয়ার মোটা অংকের টাকা, আচরণ গত দিক দিয়ে বিনয়ী অভিনয়। যা বিএনপির নেতারা টোপ গিলেছেন কিন্তু ফেলতে পারেন না। জামায়াত ইসলামের সুকৌশলের ফল ৫ তারিখে পর সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারেন। ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল নাজিমুদ্দিন মোল্লা, মাওলানা আব্দুল কাদের (পদ জানা যায়নি)। এই দুই শীর্ষ নেতার হস্তক্ষেপেই দলটির উত্থান চোখে পরেছে সকল শ্রেণির পেশার মানুষের কাছে। বর্তমানে সব মহলেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আবার অনেকে বিএনপির বর্তমান গ্রুপিংয়ের কারণেও দলটি আলোচনায় স্থান পেয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা